একদিকে আইপিএল থেকে আগেই বিদায় নিশ্চিত করেছিল পঞ্জাব কিংস। তাদের কাছে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে শেষ লিগ ম্যাচটি ছিল নিছক নিয়ম রক্ষার। অন্যদিকে সানরাইজার্স আগেই প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত করেছিল। তবে ঘরের মাঠে শেষ লিগ ম্যাচে পঞ্জাবকে হারালে প্রথম দুইয়ে থেকে শেষ চারের বৃত্তে প্রবেশ করার রাস্তা খোলা থাকত হায়দরাবাদের সামনে। সুতরাং, সানরাইজার্সের কাছে পঞ্জাব ম্যাচটি নিছক গুরুত্বহীন ছিল না।
শেষমেশ উপ্পলে শেষ হাসি হাসে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তারা নিজেদের শেষ লিগ ম্যাচে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে দাপুটে জয় তুলে নেয়। ফলে পঞ্জাবকে নয় নম্বরে থেকে আইপিএল ২০২৪ অভিযান শেষ করতে হয়। হায়দরাবাদ পৌঁছে যায় ১৭ পয়েন্টে।
রবিবার উপ্পলে টস-ভাগ্য সঙ্গ দেয় পঞ্জাব দলনায়ক জিতেশ শর্মার। টস জিতে তিনি শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। পঞ্জাব পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৬১ রান তোলে। তারা ওপেনিং জুটিতে ৯৭ রান সংগ্রহ করে। শেষমেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২১৪ রান তোলে পঞ্জাব।
ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন প্রভসিমরন সিং। নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন অথর্ব টাইডে ও রিলি রসউ। প্রভসিমরন ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরানের গণ্ডি টপকান। তিনি শেষ পর্যন্ত ৭টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৪৫ বলে ৭১ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
অথর্ব ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৭ বলে ৪৬ রান করে আউট হন। রিলি ২৪ বলে ৪৯ রান করে মাঠ ছাড়েন। তিনি ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ক্যাপ্টেন জিতেশ ২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৫ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া শশাঙ্ক সিং, আশুতোষ শর্মা ও শিবম সিং, তিন তারকাই ২ রান করে যোগদান রাখেন দলের ইনিংসে।
হায়দরাবাদের হয়ে টি নটরাজন ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচ করে ২টি উইকেট দখল করেন। প্যাট কামিন্স ৪ ওভারে ৩৬ রান খরচ করে ১টি উইকেট সংগ্রহ করেন। ১টি উইকেট নেন বিজয়কান্ত। উইকেট পাননি ভুবনেশ্বর কুমার, শাহবাজ আহমেদ ও নীতীশ রেড্ডি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে হায়দরাবাদ ইনিংসের প্রথম বলেই ট্র্যাভিস হেডের উইকেট হারিয়ে বসে। তবে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে সানরাইজার্সকে শক্ত ভিতে বসিয়ে দেন অভিষেক শর্মা ও রাহুল ত্রিপাঠী। অভিষেক মারকাটারি হাফ-সেঞ্চুরি করেন। হায়দরাবাদ ১৯.১ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২১৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ৫ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে জয় তুলে নেয় সানরাইজার্স।
অভিষেক শর্মা ৫টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ২১ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৫টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৬৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এনরিখ ক্লাসেন ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৬ বলে ৪২ রান করে মাঠ ছাড়েন।
পঞ্জাবের আর্শদীপ সিং ৩৭ রানে ২টি উইকেট নেন। ৪৯ রানে ২টি উইকেট দখল করেন হার্ষাল প্যাটেল। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন অভিষেক শর্মা।