ইংল্যান্ডকে পঞ্চম টি২০ ম্যাচে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে ভারত। ১৫০ রানে ম্যাচ জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই সিরিজ ৪-১ ফলে জিতে নিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। সূর্যকুমার যাদব পারফরমেন্সের দিক থেকে নিজে ভালো ছন্দে না থাকলেও ২০২৫ সালের প্রথম সিরিজ জয় তিনি অধিনায়ক হিসেবে এনে দিলেন অনেকটা এক পেশেভাবেই। কারণ আগেই সিরিজ ৩-১ জিতেছিল ভারত, এই ম্যাচ জিতে মেন ইন ব্লুজরা বুঝিয়ে দিল রাজকোটে হারটা একটা বিক্ষিপ্ত ঘটনা।
টি২০তে জিতেই চলেছে টিম ইন্ডিয়া
ভারতীয় দলের অশ্বমেধের ঘোড়া টি২০ সিরিজে চলছেই। বাংলাদেশ থেকে দঃ আফ্রিকা, টি২০ ফরম্যাটে সূর্যকুমার যাদবের দল যেন অপ্রতিরোধ্য। দেশ এবং বিদেশের মাটিতে নিজেদের দুর্দান্ত পারফরমেন্সই ধরে রেখেছে ভারত। এবার ইংল্যান্ডকেও দেশের মাটিতে ৪-১ ফলে হারিয়ে দেওয়ায় মেন ইন ব্লুজরা আরও একবার প্রমাণ করে দিল বিরাট, রোহিত, জাদেজা অবসর নিলেও এই ফরম্যাটে তাঁদের শূন্যস্থান পূরণ হয়ে গেছে।
পঞ্চম টি২০ ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করল ভারতীয় দল। টস হেরে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমেছিল ভারত। প্রথমে যখন সঞ্জু স্যাসন আউট হয়ে গেছিলেন, তখনও বোঝা যায়নি ইংল্যান্ডের এত ভালো বোলিং লাইন আপকে নাস্তানাবুদ করে দেবেন অভিষেক শর্মা। কিন্তু ক্রমেই খেলা যত এগোলো আর্চার, উডদের ছেড়ে দে মা কেঁদে বাচি অবস্থা হল।
ইংল্যান্ড বোলারদের ওপর অভিষেকের বুলডোজার-
এরপরই অভিষেক শর্মা পুরো থার্ড গিয়ারে রান তোলা শুরু করেন। টি২০তে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান শুধু নয়, দলগত সর্বোচ্চ রানও করলেন এই পঞ্জাব তনয়। এই সিরিজে তিনি ধারাবাহিকভাবেই ভালো পারফরমেন্স দেখালেন। বাকি এন্ডের ব্যাটাররা পরপর আউট হলেও তিনি করলেন ৫৪ বলে ১৩৫ রান। মারলেন ১৩টা ছয়, ৭টা চার। এক ইনিংসে ছয় মারার নিরিখে তিনি টপকে গেলেন রোহিত শর্মাকে।
আরও পড়ুন-ISLএ মোহনবাগানকে সুবিধা করে দিল জামশেদপুর! ৩-১ হারাল গোয়াকে
গম্ভীর-সূর্যকে কৃতিত্ব-
দিনটা যে অভিষেক শর্মার ছিল, সেকথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ তিনি ব্যাট হাতে দুর্ধর্ষ ইনিংসের পর বল হাতেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১ ওভারেই তুলে নিলেন ২ উইকেট। ১ ওভারে ৩ রান দিয়ে ওভার্টন এবং কার্সকে আউট করেন অভিষেক। ম্যাচের সেরা হয়ে তিনি বলছেন, ‘এটা আমার জন্য খুবই স্পেশাল। দেশের জন্য এমন পারফরমেন্স করা ভাগ্যের বিষয়। যখন আমি বুঝতে পারি দিনটা আমার, তখন শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে থাকি। কোচ অধিনায়ক প্রথমদিন থেকেই আমায় আস্থা দিয়েছে এমন ক্রিকেট খেলার জন্য ’।
যুবরাজ সিং এমন ইনিংস চাইত-
অভিষেক আরও বলছেন, ‘প্রতিপক্ষ দলের বোলাররা যখন ১৪০-১৫০র গতিতে বোলিং করছে তখন একটু আগে থেকেই তৈরি থাকতে হয়। যখন বিশ্বমানের বোলারকে (আর্চার) তুমি কভারের ওপর থেকে মারতে পারছ, তখন ভালো তো লাগবেই। তবে আমার আদিল রশিদের বিরুদ্ধে শটগুলো খেলতেও বেশ ভালো লাগছিল। আমার মেন্টর যুবরাজ সিং সব সময়ই চাইত আমি যাতে ১৫-২০ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করি। আজ আমায় দেখে উনি খুশি হবেন ’।