বল হাতে লড়াই চালান মহম্মদ শামি। ব্যাট হাতে দলকে শক্ত ভিতে বসিয়ে দেন অভিষেক পোড়েল। তা সত্ত্বেও শেষরক্ষা হল না। বিজয় হাজারে ট্রফির প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে এবারের মতো টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় বাংলা। সুদীপ ঘরামিদের হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় রাহুল তেওয়াটিয়াদের হরিয়ানা।
ভদোদরায় হরিয়ানার বিরুদ্ধে প্রি-কোয়ার্টারে টস জেতেন বাংলা দলনায়ক সুদীপ ঘরামি। তিনি টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান হরিয়ানাকে। পার্থ বৎস ও নিশান্ত সিন্ধুর জোড়া হাফ-সেঞ্চুরির সুবাদে বাংলার সামনে বড়সড় টার্গেট ঝুলিয়ে দেয় হরিয়ানা। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৯৮ রান সংগ্রহ করে।
পার্থ বৎস ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ৭৭ বলে ৬২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। নিশান্ত সিন্ধু ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫২ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৬৭ বলে ৬৪ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। মারেন সাকুল্যে ৬টি চার ও ১টি ছক্কা।
এছাড়া ৩২ বলে ৪১ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে নট-আউট থাকেন সুমিত কুমার। তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ২৫ বলে ২৯ রান করেন রাহুল তেওয়াটিয়া। তিনি ৫টি বাউন্ডারি মারেন। বাংলার হয়ে ১০ ওভারে ৬১ রান খরচ করে ৩টি উইকেট দখল করেন মহম্মদ শামি। মুকেশ কুমার ৯ ওভারে ২টি মেডেন-সহ ৪৬ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন। একটি করে উইকেট নেন সায়ন ঘোষ, প্রদীপ্ত প্রামাণিক, কৌশিক মাইতি ও করণ লাল।
পালটা ব্যাট করতে নেমে বাংলা ওপেনিং জুটিতে ৭০ রান তুলে ফেলে। তা সত্ত্বেও তারা ৪৩.১ ওভারে ২২৬ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৭২ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতে হরিয়ানা। ফলে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় বাংলা।
দল হারায় জলে যায় অভিষেক পোড়েলের হাফ-সেঞ্চুরি। তিনি ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৮ বলে ৫৭ রান করে আউট হন। সুদীপ ঘরামি ৩৯ বলে ৩৬ রান করে মাঠ ছাড়েন। মারেন ৫টি চার ও ১টি ছক্কা। অভিমন্যু ঈশ্বরন ১৭ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ১টি চার মারেন। অনুষ্টুপ মজুমদার ৩৪ বলে ৩৬ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
১৬ বলে ১৪ রান করেন সুদীপ ঘরামি। তিনি ২টি চার মারেন। ৩০ বলে ২৮ রান করেন করণ লাল। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। প্রদীপ্ত প্রামাণিত ৫, কৌশিক মাইতি ৬, মহম্মদ শামি ২ ও সায়ন ঘোষ ৪ রান করে আউট হন। ১৩ রানে নট-আউট থাকেন মুকেশ কুমার।
হরিয়ানার হয়ে ৩৩ রানে ৩টি উইকেট নেন পার্থ বৎস। ৩৬ রানে ২টি উইকেট নেন নিশান্ত সিন্ধু। ২৫ রানে ২টি উইকেট নেন অংশুল কাম্বোজ। ম্যাচের সেরা ক্রিকটারের পুরস্কার জেতেন পার্থ।