২০২৩ সালে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হয় আইসিসি ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারতীয় দল ঘরের মাঠে আয়োজিত বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স উপহার দেয়। যদিও দুর্ভাগ্যবশত ভারত বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হয়। প্রথমত, বিশ্বকাপে রানার্স হয়ে ভারতীয় দল মোটা অঙ্কের আর্থিক পুরস্কার পায় আইসিসির কাছ থেকে। তবে টুর্নামেন্ট আয়োজন করে ভারতের অর্থনীতি কতটা লাভবান হয়, সেই খবর সামনে আসে অবশেষে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়, যাতে বলা হয়েছে যে, ২০২৩ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ আয়োজন করে ভারতের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়েছে প্রায় ১.৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ, ভারতের অর্থনীতি লাভবান হয়েছে বিস্তর। ভারতীয় মুদ্রায় এই পরিমাণ ১১ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকারও বেশি। সব থেকে বেশি লাভবান হয়েছে পর্যটন বিভাগ।
আইসিসির তরফে নিয়েলসেনের করা আর্থিক প্রভাবের মূল্যায়ণে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার তরফে আগেই দাবি করা হয় যে, ভারতে অনুষ্ঠিত ২০২৩ ওয়ান ডে ওয়ার্ল্ড কাপই বাণিজ্যিক দিক দিয়ে এখনও পর্যন্ত সব থেকে সফল আইসিসি ইভেন্ট।
আইসিসির চিফ এক্সিকিউটিভ জিওফ অ্যালারডিস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন যে, ২০২৩ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ দেখিয়েছে টুর্নামেন্টের আর্থিক প্রভাব কতটা। ভারতের জন্য ১.৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনৈতিক সুবিধা এনে দিয়েছে এই টুর্নামেন্ট।
আইসিসির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিশ্বকাপের আয়োজক শহরগুলির পর্যটন বিভাগ ৮৬১.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে বিশ্বকাপ থেকে। ভারতীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৭ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা। দেশ বিদেশ থেকে খেলা দেখলে আসা দর্শকদের থাকা, খাওয়া, যাতায়াত ও পানীয় বাবদ এই আয় হয়েছে পর্যটন বিভাগের।
উল্লেখ্য, ২০২৩ আইসিসি ওয়ান ডে বিশ্বকাপে এবার সব মিলিয়ে রেকর্ড ১২ লক্ষ ৫০ হাজার দর্শক সমাগম হয়। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, এই দর্শক সংখ্যার ৭৫ শতাংশই ৫০ ওভারের আইসিসি ইভেন্টের ম্যাচ দেখতে আসেন প্রথমবার।
বিদেশি দর্শকরা বিশ্বকাপের খেলা দেখতে এসে ভারতের বিভিন্ন টুরিস্ট স্পটগুলিতে ভ্রমণ করেন। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৪৮ হাজার মানুষের পূর্ণ ও আংশিক সময়ের কর্ম সংস্থান হয় বিশ্বকাপ ঘিরে। এই বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে আইসিসির রিপোর্টে। সব মিলিয়ে ভারত ২০২৩ বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও আর্থিক দিক দিয়ে সমৃদ্ধ হয় ভারতীয় অর্থনীতি।