মাত্র কয়েকদিন আগের ঘটনা। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ইব্রাহিম জাদ্রান অনুরোধ করেছিলেন যাতে তাঁদের জন্য একটি ভালো পরিকাঠামোসহ স্টেডিয়াম বরাদ্দ করা হয়, যেখানে তাঁরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সিরিজ খেলতে পারে। এরই মধ্যে ঘটে গেল বিপত্তি। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল লখনউয়ের শহিদ বিজয় সিং পথিক স্টেডিয়ামে। কিন্তু মাঠে জল জমার কারণে প্রথম দিনের খেলা পুরোপুরি ভেস্তে যায়। দ্বিতীয় দিনেও নির্দিষ্ট সময় খেলা শুরু করা যায়নি। যার ফলে বেজায় হতাশ দুই দলের ক্রিকেটার এবং বোর্ড। ভারতে এমন ক্রিকেট স্টেডিয়াম রয়েছে যেখানে ঠিকঠাক সুপার সপার কাজ করেনা বা জল শুনোকোর মত পরিকাঠামো নেই, সেটাই হয়ত এতদিন জানতেন না দুই দলের ক্রিকেটাররা।
আরও পড়ুন-ইজরায়েলের মাঠে দুরন্ত জয় ইতালির! আজ মুখোমুখি জার্মানি-নেদারল্যান্ডস! নামছে ইংল্যান্ডও…
বিশ্বের ধনি ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে অন্যতম বিসিসিআই। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ঘরোয়া ম্যাচও যেই স্টেডিয়ামে হয়, সেখানকার পরিকাঠামো আন্তর্জাতিক মানের থেকে কম কিছু নয়। অথচ নিউজিল্যান্ড বনাম আফগানিস্তান টেস্টর প্রথম দিন দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও খেলা শুরু করা গেল না। বিকেল চারটের পরে ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথ প্রথম দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। এর আগে অনেকবারই আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা এসে মাঠ পরিদর্শ করে যান। তবে ৩০ গজের ভিতরে বেশ কয়েকটি জায়গায় জল জমেছিল,বিশেষ করে বোলারের রান আপের জায়গায়। মাঠকর্মিরা সেই জল শুকোনোর মরিয়া চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি, টসও করা যায়নি।
কথা ছিল বাকি চারদিন নির্দিষ্ট ৯০ ওভারের পরিবর্তে ৯৮ ওভারের খেলা হবে, সেই জন্য ম্যাচের সময় ১০টা থেকে এগিয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় করা হবে। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের শুরুতেও ম্যাচ বিলম্বিত হল। আগের রাতে বৃষ্টির কারণে আবারও জমল জল, ফলে নির্দিষ্ট সময় করা গেল না টস। এই ভেনুকে ২০১৭ সালে বাতিল করে দিয়েছিল বিসিসিআই, কারণ এক কর্পোরেট ম্যাচে গড়াপেটা হয়েছিল সেখানে। পরিকাঠামো না থাকা সত্ত্বেও কেন নয়ডার এই স্টেডিয়ামে খেলা দেওয়া হল, সেই নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে আফগান ক্যাম্পে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আফগান বোর্ড কর্তা জানিয়েছেন, ‘আমাদের প্রথম পছন্দের তালিকায় ছিল লখনউ। এখানকার মাঠে ট্রেনিংয়ের জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই, এছাড়া অব্যবস্থার ছড়াছড়ি রয়েছে স্টেডিয়ামের সর্বত্র। এটা একটা বড় ভুল, আমরা আর কখনও এখানে খেলতে আসব না। ক্রিকেটাররাও পুরো বিষয়টায় যথেষ্ট বিরক্ত’।