বুধবার শারজায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তানের প্রথম ওডিআই ম্যাচ। সেখানেই বল হাতে কামাল করে দেখালেন আল্লাহ গজনফর। মাত্র ১১ বলে ৫ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়লেন আফগানিস্তানের এই অফ স্পিনার। আল্লাহ এবছর কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে ছিলেন। তবে একটি ম্যাচও খেলা হয়ে ওঠেনি তাঁর। বুধবারের ম্যাচে মোট ৬.৩ ওভার বল করে ৬ উইকেট নেন এই ১৮ বছরের তরুণ ক্রিকেটার। তবে প্রথম স্পেলে ভালো বল করতে পারেননি বলে স্বীকার করেছেন তিনি। ম্যাচ শেষে আল্লাহ বলেন, ‘আমি যখন বল করতে এসেছিলাম তখন ভালো ছন্দে ছিলাম, একটি উইকেটও পাই।তবে এরপর আমি ভালো বল করতে পারিনি আর। তারপরে আমি আমার দ্বিতীয় স্পেলে আরও ভালো বল করার চেষ্টা করি এবং শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসি। আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি এবং দলের হয়ে ম্যাচ জিতেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি বোলারের স্বপ্ন থাকে নিজের দলের হয়ে ৫-৬ উইকেট নেওয়া। আমারও একই স্বপ্ন ছিল, আজ সেটা পূরণ হল। রশিদ এবং নবি যেভাবে বোলিং করেছিল তা আমায় সাহায্য করে। তারা সবসময় আমায় ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছে, যা আমায় ভালো বল করতে সাহায্য করেছে।’ আফগানিস্তানের অধিনায়কও তাঁর প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ও একটা স্পেশাল ট্যালেন্ট এবং আফগানিস্তানের ক্রিকেটের সুন্দর ভবিষ্যৎ। প্রথম স্পেলে সে ভালো বল করেছিল, কিন্তু ও একটা নো বল করেছিল। আমি তাকে জিজ্ঞেস করি নো বল কেন করলে (হাসি)। আমি খুব খুশি যে ওর মতো একজন খেলোয়াড় আমাদের বেঞ্চে রয়েছে।’
এই বিস্ময় প্রতিভা কিন্তু প্রথম দিকে একজন পেস বোলার ছিলেন। পরবর্তীতে আফগানিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক দৌলত আহমেদজাই তাঁকে একজন স্পিনার হিসেবে গড়ে তোলেন। এর আগে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ নজর কেড়েছিলেন আল্লাহ গজনফর। ডান হাতি অফ-স্পিনার সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজের সময়ও তাঁর প্রতিভা দেখিয়েছিলেন এবং কিছুদিন আগে আফগানিস্তানের ইমার্জিং এশিয়া কাপ জয়ের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন আল্লাহ। প্রসঙ্গত, বুধবার ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আফগানিস্তান। প্রথমে তারা ২৩৫ রান তুলতে সক্ষম হয়। ব্যাট হাতে ৮৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন মহম্মদ নবি। এছাড়া ৫২ রান করেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি। জবাবে বাংলাদেশ শুরুটা ভালোই করে। একটা সময় ১৩২ রানে ৩ উইকেট ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু এরপরেই বল হাতে ম্যাজিক দেখান আল্লাহ গজনফর। মাত্র ১১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা। ৯২ রানে ম্যাচ জিতে নেয় আফগানিস্তান।