আইপিএল নিলামের আগে ব্যাট হাতে পরিচিত ছন্দে ছিলেন না অজিঙ্কা রাহানে। তবে আইপিএল নিলামে কেকেআরে ফেরার পরেই থামানো যাচ্ছে না অভিজ্ঞ ভারতীয় তারকাকে। চলতি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে একের পর এক ম্যাচে বড় রানের ইনিংস খেলে চলেছেন রাহানে।
আইপিএল নিলামের ঠিক পরেই মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ বলে ৫২ রান করেন অজিঙ্কা। কেরলের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ বলে ৬৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন রাহানে। নাগাল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নামেননি তিনি। সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে ওপেন করতে নেমে ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮ বলে ২২ রান করেন অজিঙ্কা।
অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে লিগের শেষ ম্যাচে ওপেনার হিসেবে মাঠে নেমে নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন রাহানে। তিনি ৯টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৫৪ বলে ৯৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। এবার বিদর্ভের বিরুদ্ধে মুস্তাক আলির কোয়ার্টার ফাইনালে ফের মারকাটারি হাফ-সেঞ্চুরি করে মুম্বইকে জেতালেন অজিঙ্কা।
বুধবার আলুরে বিদর্ভের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রাহানে। তিনি ফের শতরান হাতছাড়া করেন বলা যায়। বুধবার ১০টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪৫ বলে ৮৪ রান করে সাজঘরে ফরেন রাহানে। অর্থাৎ, আইপিএল নিলামের পরে মুস্তাক আলির ৫টি ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে ৪টি হাফ-সেঞ্চুরি করলেন অজিঙ্কা। তার মধ্যে ২টি ম্যাচে তিনি শতরানের দোরগোড়ায় থামেন।
মুম্বই বনাম বিদর্ভ ম্যাচের ফলাফল
কোয়ার্টার ফাইনালে শুরুতে ব্যাট করে বিদর্ভ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২২১ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। অথর্ব টাইডে ৬৬, করুণ নায়ার ২৬, অপূর্ব ৫১, শুভম দুবে ৪৩ ও জিতেশ শর্মা ১১ রান করেন। মুম্বইয়ের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন অথর্ব আঙ্কোলেকর ও সূর্যাংশ শেজ। ১টি উইকেট নেন তনুষ কোটিয়ান।
পালটা ব্যাট করতে নেমে মুম্বই ১৯.২ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২২৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৪ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে মুস্তাক আলির সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে তারা। রাহানের হাফ-সেঞ্চুরি ছাড়া ২৬ বলে ৪৯ রান করেন পৃথ্বী শ। তিনি ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। সেদিক থেকে পৃথ্বী ফর্মে ফিরলেন বলা যায়।
ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার ৫ বলে ৫ রান করে মাঠ ছাড়েন। সূর্যকুমার যাদব ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭ বলে ৯ রান করে মাঠ ছাড়েন। ২২ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন শিবম দুবে। তিনি ১টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ১২ বলে ৩৬ রান করে নট-আউট থাকেন সূর্যাংশ শেজ। তিনি ১টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ম্যাচের সেরা হন রাহানে।