অবশিষ্ট ভারতের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে অধিনায়কোচিত দৃঢ়তায় লড়াই চালালেন অজিঙ্কা রাহানে। প্রাথমিক বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তুলে জাতীয় নির্বাচকদের বার্তা দিলেন, এখনও ফুরিয়ে যাননি তিনি। তবে আক্ষেপ রয়ে গেল একটাই যে, ইরানি কাপের প্রথম ইনিংসে অল্পের জন্য ব্যক্তিগত শতরান হাতছাড়া হল অজিঙ্কার।
ক্যাপ্টেন নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে এলেও সেঞ্চুরির আগে থামানো গেল না সরফরাজ খানকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে চমকপ্রদ পারফর্ম্যান্স মেলে ধরেন সরফরাজ। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত সিরিজের ২টি টেস্টেই জাতীয় দলের প্রথম একাদশে জায়গা পাননি তিনি। ইরানি কাপের প্রথম ইনিংসে মুম্বইয়ের হয়ে দাপুটে শতরান করে সরফরাজ বোঝালেন, খুব বেশিদিন উপেক্ষা করা যাবে না তাঁকে।
লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে অবশিষ্ট ভারতের বিরুদ্ধে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মুম্বই। তারা মাত্র ৩৭ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের তিনজন ব্যাটারের উইকেট হারিয়ে বসে। তবে শ্রেয়স আইয়ার ও সরফরাজ খানকে সঙ্গে নিয়ে অজিঙ্কা রাহানে মুম্বইয়ের ইনিংসকে নির্ভরতা দেন।
শ্রেয়স প্রথম দিনেই ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৮৪ বলে ৫৭ রান করে মাঠ ছাড়েন। মুম্বই প্রথম দিনে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৩৭ রান তোলে। রাহানে ৮৬ ও সরফরাজ ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে অজিঙ্কা ব্যক্তিগত শতরানের দোরগোড়ায় পৌঁছে যান। তবে মাত্র ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। রাহানে ব্যক্তিগত ৯৭ রানের মাথায় আউট হয়ে বসেন। ২৩৪ বলের জমাট ইনিংসে তিনি ৭টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
অন্যদিকে সরফরাজ ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন ১৪৯ বলে। সাহায্য নেন ১৪টি বাউন্ডারির। দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চে মুম্বই তাদের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৩৩৮ রান। সরফরাজ অপরাজিত ১০৩ রানে।
মুম্বইয়ের হয়ে প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন পৃথ্বী শ। তিনি ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭ বলে ৪ রান করে আউট হন। খাতা খুলতে পারেননি হার্দিক তামোরে। শামস মুলানি ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৪ বলে ৫ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। অবশিষ্ট ভারতের মুকেশ কুমার তখনও পর্যন্ত ৪টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন। ২টি উইকেট নিয়েছেন যশ দয়াল, যিনিও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুই টেস্টের সিরিজে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন। তবে প্রথম একাদশে সুযোগ পাননি।