হেরেও ব্যাজবলের ধ্বজা নাড়লেন জোস বাটলার। ২০ ওভারে ১৬৫ তুলেই ব্যাটারদের বাহবা দিলেন আগ্রাসন দেখানোর জন্য। যদিও ব্রিটিশ দলনায়ক শেষমেশ বাধ্য হলেন তিলকের কৃতিত্ব মেনে নিতে। আসলে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে প্রতিপক্ষের দক্ষতাকে ঢাল করলেন বাটলার। হারের কারণ হিসেবে তাই তিলক বন্দনায় মাতলেন তিনি।
চেন্নাইয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে ভারতের জয়ের জন্য তিলকের কৃতিত্ব প্রাপ্য সন্দেহ নেই। তবে ইংল্যান্ডের তারকাখচিত টপ-মিডল অর্ডারের ব্যর্থতাকে লুকোনো যায় না কোনওভাবেই।
দুই ওপেনার ফিল সল্ট (৪) ও বেন ডাকেট (৩) ইংল্য়ান্ড ইনিংসের শুরুটা ভালো করতে পারেননি। মিডল অর্ডারে হ্যারি ব্রুক (১৩) ও লিয়াম লিভিংস্টোন (১৩) দলকে নির্ভরতা দিতে ব্যর্থ হন। বাটলার (৩০ বলে ৪৫) নিজে চোয়ালচাপা লড়াই চালান। ইংল্যান্ড ব্যাটারদের মধ্যে আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা করেন শুধু জেমি স্মিথ (১২ বলে ২২) ও ব্রাইডন কার্স (১৭ বলে ৩১)।
ভারত যদিও নিতান্ত সহজে ম্যাচ জেতেনি। তিলক বর্মার ৫৫ বলে অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংসের সুবাদে একেবারে শেষ ওভারে জয় তুলে নেয় টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচ শেষ ওভার পর্যন্ত গড়ানোয় বাটলারের মনে হয় তাঁরা কার্যত ডিফেন্ড করার মতো রান তুলে ফেলেছিলেন প্রায়।
ম্যাচের শেষে বাটলার বলেন, ‘দারুণ একটা ম্যাচ ছিল। ওদের (ভারতের) জয় নিশ্চিত করার জন্য সব কৃতিত্ব প্রাপ্য তিলকের। আমরা বিস্তর সুযোগ তৈরি করেছি। সত্যিই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেছি। সবাই মিলে ওদের কোণঠাসা করতে পেরেছি দেখে ভালো লাগছে। যেভাবে ব্যাট করেছি, তাতে যারপরনাই আপ্লুত। আমরা উইকেট খুইয়েছি বটে, তবে যে আগ্রাসনটা দেখতে চেয়েছিলাম, সেটা বজায় ছিল। আমরা লড়াই জারি রেখছিলাম এবং প্রায় ডিফেন্ড করার মতো একটা স্কোরে পৌঁছতে সক্ষম হই।’
ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেন অবশ্য ম্যাচের শেষে জেমি স্মিথ ও ব্রাইডন কার্সের আলাদা করে প্রশংসা করতে ভোলেননি। উল্লেখ্য, ইংল্যান্ডের জার্সিতে জেমি স্মিথের এটিই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ। অন্যদিকে ব্রাইডন কার্স শুধু ব্য়াট হাতেই নয়, বরং বল হাতেও অনবদ্য পারফর্ম্যান্স মেলে ধরেন। তিনি ৪ ওভার বল করে ২৯ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করেন। ইংল্যান্ড জিতলে নিশ্চিতভাবেই ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিততেন ব্রাইডন। তবে তিলক কার্যত একার হাতে টিম ইন্ডিয়াকে জয় এনে দেওয়ায় এক্ষেত্রে ট্র্যাজিক হিরো হয়ে থেকে যেতে হয় কার্সকে।