চেষ্টা করেছিলেন বলকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠানোর। বদলে ব্যাট উড়ে গেল বেশ কিছুটা দূরে। যদিও ব্যাট নয়, ব্যাটের টুকরো বলা উচিত। মেজর লিগ ক্রিকেটের ম্যাচে নাইট রাইডার্সের আন্দ্রে রাসেলের বল খেলতে গিয়ে দু'টুকরো হল ট্র্যাভিস হেডের ব্যাট।
সোমবার মরিসভিলে লিগের ১১ নম্বর ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে লস অ্যাঞ্জেলেস নাইট রাইডার্স ও ওয়াশিংটন ফ্রিডম। টস জিতে ওয়াশিংটনের ক্যাপ্টেন স্টিভ স্মিথ শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান নাইট রাইডার্সকে। নাইটরা ১৮.৪ ওভারে মাত্র ১২৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়।
ওয়াশিংটন ফ্রিডম পালটা ব্যাট করতে নামলে স্পেনসার জনসনের প্রথম ওভারেই একটি ছক্কা মারেন ট্র্যাভিস হেড। দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসেন আন্দ্রে রাসেল। তাঁর ওভারের দ্বিতীয় বলে ১ রান নেন স্টিভ স্মিথ। ফলে স্ট্রাইকে আসেন হেড। তিনি ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে কোনও রান সংগ্রহ করতে পারেননি। পঞ্চম বলে সজোরে পুল শট খেলার চেষ্টা করেন হেড।
বল ব্যাটে লাগে। তবে তা বাউন্ডারি লাইনের বাইরে যায়নি। বরং ট্র্য়াভিস হেডের ব্যাট দু'টুকরো হয়ে যায়। ব্যাটের হ্যান্ডেল থাকে হেডের হাতে। বাকি অংশ ছিটকে যায় দূরে। সেই ওভারে ট্র্যাভিসকে আটকে রাখেন রাসেল। তবে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দ্রে রাস ফের বল করতে এলে প্রথম বলেই ছক্কা মারেন হেড।
ব্যাট ভাঙার পরে ট্র্য়াভিস হেডকে রীতিমতো আগ্রাসী মেজাজে পালটা দিতে দেখা যায়। তিনি ২টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষমেশ ৩২ বলে ৫৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ওয়াশিংটন ফ্রিডমকে জয়ের ভিতে বসিয়ে দিয়ে যান ট্র্যাভিস।
ওয়াশিংটন ফ্রিডম ১৬ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১৩০ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ২৪ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। হেডের হাফ-সেঞ্চুরি ছাড়া ক্যাপ্টেন স্টিভ স্মিথ ৩৬ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। এছাড়া ১৬ বলে ১১ রান করেন রাচিন রবীন্দ্র। ১২ বলে ১৫ রান করে নট-আউট থাকেন আন্দ্রিজ গাউস। নাইটদের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন স্পেনসার জনসন ও শ্যাডলি।
তার আগে নাইট রাইডার্সের হয়ে সব থেকে বেশি ৩৫ রান করেন সইফ বদর। ২৮ বলের ইনিংসে তিনি ১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ১২ বলে ২০ রান করেন আন্দ্রে রাসেল। তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৯ বলে ১৬ রান করেন স্পেনসার জনসন। ওয়াশিংটনের সৌরভ নেত্রভালকর ৩৫ রান খরচ করে ৪টি উইকেট তুলে নেন। ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ম্যাচের সেরা হন তিনিই।