ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ইলেভেনের বিরুদ্ধে দুরন্ত ইনিংস খেললেন ইংল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটার অ্যান্ড্রিউ ফ্লিনটফের ছেলে রকি ফ্লিন্টফ। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই ইংল্যান্ড লায়ন্সের হয়ে নজর কাড়লেন এই ক্রিকেটার। ব্রিসবেনের অ্যালান বর্ডার ফিল্ডে কার্যত আগুন লাগিয়ে দেন এই উঠতি ক্রিকেটার। বাপ কা বেটা, সিপাহি কা ঘোড়া, কথাটাই যেন আরেকবার সত্যি করলেন তিনি। একটা সময় বিশ্বক্রিকেটে দাপিয়ে খেলার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ানদেরও মাথা ব্যথার কারণ ছিলেন অলরাউন্ডার ফ্লিন্টফ।
আরও পড়ুন-৯ বছরের দাবাড়ুর কাছে হার কার্লসেনের? বাংলাদেশের দাবাড়ুর দাবিতে তোলপার বিশ্ব
ইংল্যান্ড লায়ন্সের হয়ে শতরান রকি ফ্লিন্টফের-
১২৪বলে দুরন্ত শতরান করেন ইংল্যান্ড লায়ন্সের এই ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের বিরুদ্ধে দুরন্ত ইনিংস খেলে শতরানের পর আকাশে লাফিয়ে উঠে সেলিব্রেশন করেন রকি, তা দেখে ডাগআউটের সকলেই উঠে তাঁকে হাততালি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। নিজের ঝকঝকে ইনিংসে মারেন ৬টি ছয়। অর্থাৎ বাবা অ্যান্ড্রিউ ফ্লিনটফ যেমন মারকাটারি ইনিংস খেলতেন, তেমনই নজরকাড়া ইনিংস খেললেন তিনি।
দুরন্ত ইনিংস রকি ফ্লিন্টফের-
৯ নম্বরে ব্যাট করতে আসা ফ্লিন্টফ দলের পতন আটকান। কারণ তখন ইংল্যান্ড লায়ন্সের স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ১৬১। এরপর তাঁর শতরানের সুবাদেই দলগত স্কোর পৌঁছায় ৩১৬তে। তার এই ইনিংসের সুবাদে ইংল্যান্ড লায়ন্স দল ১০২ রানের প্রথম ইনিংসে লিড পায়। মিডল ওভারে মাত্র ২৭ রানের মধ্যেই পাঁচ উইকেট হারিয়েছিল লায়ান্সরা, তখনই দলকে বাঁচান রকি।
আরও পড়ুন-রেস্তোরাঁয় একা শ্রেয়সকে দেখে ভক্তের অনুরোধ অটোগ্রাফের! খোশমেজাজে তুললেন সেলফিও
বাবার রেকর্ড ভাঙলেন রকি-
ইংল্যান্ড লায়ন্সের অধিনায়ক অ্যালেক্স ডেভিস করেন ৭৬ রান, ফ্রেডি ম্যাককান করেন ৫১ রান। এরপর রকি ১২৭ বলে ১০৮ রানের ইনিংস খেলেন। মারেন ৯টি চার। বাবার মতোই স্ট্রোক প্লে খেলা শুরু করেন রকি,যা আটকানোর কোনও উপায়ই খুঁজে পাচ্ছিল না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ইলেভেনের বোলাররা। ইংল্যান্ড এ বা লায়ন্সের হয়ে মাত্র ১৬বছর ২৯১ দিন বয়সে শতরান করে নজির গড়লেন রকি। তিনি বাবার রেকর্ড ভেঙে দিলেন। ১৯৯৮ সালে কেনিয়ার বিরুদ্ধে নাইরোবিতে কনিষ্ঠতম ইংল্যান্ড এ দলের ক্রিকেটার হিসেবে শতরান করেছিলেন অ্যান্ড্রিউ ফ্লিন্টফ।
ভবিষ্যৎে বাবার কোচিংয়ে খেলতে পারেন রকি-
বাবা অ্যান্ড্রিউ ফ্লিন্টফ আপাতত ইংল্যান্ড দলের কোচের পদে না থাকলেও ভবিষ্যৎে তিনি আসতেই পারেন সেই পদে। সেক্ষেত্রে রকির কাছে সুযোগ থাকবে বাবার কোচিংয়ে খেলার, যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিরল। তবে এখনও সেসব অনেক দূরের কথা। আগে রকিকে পারফরমেন্সের জোরে ইংল্যান্ড দলে নিজের জায়গা পাকা করতে হবে। এরপর যদি ইসিবি ম্যাককালাম-বাটলার যুগের পর ফ্লিন্টফকে আনতে চায়, সেক্ষেত্রে তাঁদের একসঙ্গে দেখা যেতেই পারে।