নো-বলে বাউন্ডারি নয়, ওভার-থ্রোও হয়নি। তা সত্ত্বেও এক বলে উঠল ৫ রান। দুই ব্যাটার পাঁচবার প্রান্তবদল করেন এক বলে। অর্থাৎ, শট খেলার পরে দৌড়ে পাঁচ রান নিয়ে নেন ব্যাটার। এমনই অবাক করা ঘটনা ঘটল আয়ারল্যান্ড বনাম জিম্বাবোয়ে সিরিজের একমাত্র টেস্টে।
বেলফাস্টে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের একমাত্র টেস্টে মাঠে নামে জিম্বাবোয়ে। এই ম্যাচের চতুর্থ দিনে ঘটে এমন আজব ঘটনা। রিচার্ড এনগারাভার বলে কভার ড্রাইভ মারেন আয়ারল্যান্ডের বাঁ-হাতি ব্যাটার অ্যান্ডি ম্যাকব্রায়ান। বল বাউন্ডারি লাইনের দিকে গড়িয়ে যায়। বলের পিছনে ধাওয়া করেন ফিল্ডার টেন্ডাই চাতারা।
বাউন্ডারি লাইনের ঠিক আগে চাতারা বলের নাগালে পৌঁছে যান। তিনি নিজের পিছন দিকে বল ঠেলে দিয়েই বাউন্ডারি লাইনের বাইরে চলে যান। শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে ফিল্ডারকে লাফিয়ে টপকে যেতে হয় বাউন্ডারির বাইরে রাখে বিজ্ঞাপনের বোর্ডকেও। চাতারা পুনরায় মাঠে ঢুকে যখন বল ধরেন, ততক্ষণে ম্যাকব্রায়ান ও তাঁর সতীর্থ লরকান টাকার পাঁচবার প্রান্ত বদল করে নেন।
চাতারা যদি বল আটকাতে না পারতেন, তাহলে সেই বলে বাউন্ডারি থেকে চার রান পেয়ে যেতেন ম্যাকব্রায়ান। তবে চাতারা একে তো কষ্ট করে বল আটকান। তার উপর আয়ারল্যান্ড সেই বলে সংগ্রহ করে ৫ রান। অর্থাৎ, ভালো ফিল্ডিং করেও রান বাঁচানোর বদলে বাড়তি এক রান খরচ করে বসেন চাতারা।
অবশ্য ওভার-থ্রো ছাড়া এক বলে দৌড়ে ৫ রান নেওয়া টেস্টের ইতিহাসে এই প্রথম নয়। ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার ক্রেগ ম্যাকডারমট এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। সুতরাং, ২৮ বছর পরে ফের দেখা গেল এমন ছবি।
আয়ারল্যান্ড বনাম জিম্বাবোয়ে টেস্টের ফলাফল
আয়ারল্যান্ড এই ম্যাচ হারতে হারতে জিতে যায়। শুরুতে ব্যাট করে জিম্বাবোয়ে তাদের প্রথম ইনিংসে ২১০ রান তোলে। পালটা ব্যাট করতে নেমে আয়ারল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ২৫০ রান। ৪০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবোয়ে। তারা দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় ১৯৭ রানে।
জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে আয়ারল্যান্ডের দরকার ছিল ১৫৮ রান। তবে আইরিশরা শেষ ইনিংসে একসময় ২১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে আয়ারল্যান্ড শেষমেশ ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৫৮ রান সংগ্রহ করে নেয়। ৪ উইকেটে ম্যাচ জেতে আয়ারল্যান্ড।
প্রথম ইনিংসে ২৮ ও দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৫৫ রান করেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রায়ান। সেই সঙ্গে তিনি প্রথম ইনিংসে ৩৭ রানে ৩টি ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৮ রানে ৪টি উইকেট দখল করেন। এমন অল-রাউন্ড পারফর্ম্যান্সের সুবাদে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন ম্যাকব্রায়ান।