আবু ধাবি টি১০ প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন হল ডেকান গ্ল্যাডিয়েটর। সেই দলে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই ক্রিকেটার আন্দ্রে রাসেল এবং অনরিখ নরকিয়া। কলকাতা নাইট রাইডার্সের জন্য যা নিঃসন্দেহে সুখবর। ফাইনালে রাসেল না খেললেও অনরিখ নরকিয়ার বোলিং বেশ নজর কেড়েছে, যার সুবাদে ফাইনালে জিতেছে ডেকান শিবির।
আরও পড়ুন- ভারত প্রথম টেস্টে জিতবে! জানতেন মহারাজ! লিড নিতেই করেছিলেন মাইকেল ভনকে টেক্সটও…
আবু ধাবি টি১০ লিগের লড়াই শুরু হওয়ার আগেই ডেকান গ্ল্যাডিয়েটর দল রিটেন করেছিল দুই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার নিকোলাস পুরান এবং আন্দ্রে রাসেলকে। চ্যাম্পিয়ন হওয়া ডেকান গ্ল্যাডিয়েটর দলের অধিনায়কও নিকোলস পুরান। সেই দলের হয়েই ফাইনাল ম্যাচে দুরন্ত বোলিং করলেন সদ্য আইপিএল নিলাম থেকে কেকেআরে যোগ দেওয়া নরকিয়া।
৬.৫ কোটি টাকায় দঃ আফ্রিকার পেসার অনরিখ নরকিয়াকে দলে নিয়েছে এবারে কলকাতা নাইট রাইডার্স। গতবার নরকিয়া খেলেছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালস দলে। সেখানে খুব বেশি নজর কাড়তে পারেননি তিনি। কারণ বড্ড বেশি ইকোনমি রেট ছিল তাঁর। কিন্তু আগামী মরশুমের আগে দঃ আফ্রিকার এই জোরে বোলারের ওপরই ভরসা রেখেছে নাইট টিম ম্যানেজমেন্ট।
আরও পড়ুন - তিনটি আলাদা নেটে বিশেষ অনুশীলন! অ্যাডিলেডে রানে ফিরতে মরিয়া ল্যাবুশেন
নাইটদের ভরসার দামও দিলেন অনরিখ নরকিয়া। আইপিএল শুরু হতে এখনও তিন মাসের ওপর বাকি থাকলেও আবু ধাবি টি১০ লিগের ফাইনাল ম্যাচে মরিসভিলে সাম্প আর্মির বিরুদ্ধে সব থেকে ইকোনমিকাল বোলিং করলেন নরকিয়াই। গোটা ম্যাচে সব বোলারদের মধ্যে সব থেকে কৃপন বোলিং করেন প্রোটিয়া পেসার। ২ ওভার বল করে দেন মাত্র ১৪ রান। নেন ১ উইকেট, করেন একটি রানআউটও। ১০ ওভারে ফ্যাফ ডুপ্লেসির মরিসভিলে দল তোলে ১০৪ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার টম কোহলার ক্যাডমোরের ২১ বলে ৫৬ রান এবং নিকোলাস পুরানের ১০ বলে ২৮ রানের সৌজন্যে ভালো শুরু করে ডেকান গ্ল্যাডিয়েটর দল। এরপর রিলি রুসো এবং জস বাটলার, দুজনেই ৫ বলে ১২ রান করেন। সেই সুবাদেই রাসেল, নরকিয়াদের ডেকান গ্ল্যাডিয়েটর দল ৬.৫ ওভারেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায়। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন ডেকান গ্ল্যাডিয়েটরের বোলার রিচার্ড গ্লিসান, তিনি ২ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।