খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছেন বিরাট কোহলি। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। সে কারণে সমালোচনার মুখে পড়ছেন। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ভারতের ৩-১ ব্যবধানে পরাজয়ের পর আরও বেশি করে নিশানা করা হচ্ছে তাঁকে। পুরো অস্ট্রেলিয়া সিরিজে মাত্র ১টি সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট। পাঁচটি টেস্টের নয় ইনিংসে ব্যাট করে ১৯০ রান করেছিলেন তিনি, গড় ২১.১১। স্বাভাবিকভাবে এই পারফরম্যান্সের পর বেশ হতাশ কোহলি নিজেও। সিডনিতে একইভাবে অফস্টাম্পের বাইরের বলে আউট হওয়ার পর নিজের উপর বিরক্ত হতে দেখা যায় তাঁকে। এরকম পরিস্থিতিতে দেশে ফিরে স্ত্রী অনুষ্কা শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন ভগবানের দরবারে। দেখা করেন ধর্মীয় গুরু প্রেমানন্দ মহারাজের সঙ্গে। বিরাট এবং অনুষ্কা দু’জনই কৃষ্ণ ভক্ত হিসেবে পরিচিত। তাঁদের সঙ্গে এবার হাজির ছিলেন দুই সন্তানও।
প্রেমানন্দ মহারাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ বিরাট-অনুষ্কার:
এর আগেও একবার প্রেমানন্দ মহারাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন বিরাট এবং অনুষ্কা। তাঁদের দেখে খুশি হন মহারাজ। ঢুকে মাথানত করে প্রণাম করতে দেখা যায় দম্পতিকে। আনুশকা প্রেমানন্দ মহারাজকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আগেরবার যখন প্রথম আসলাম, তখন অনেক প্রশ্ন মনের মধ্যে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু করতে পারিনি। যখনই কোনও প্রশ্ন করব ভাবলাম, দেখলাম কেউ না কেউ সেই প্রশ্ন করে উঠছে। আপনার কাছে আসার কথা হচ্ছিল যখন থেকে তখন থেকেই নিজের মনের মাধ্যমে আপনার সঙ্গে কথা বলছিলাম। প্রশ্ন জাগছিল, কিন্তু পরের দিন যখন ক্রান্তি বার্তালাপ খুলতাম দেখতাম কেউ না কেউ সেই প্রশ্ন করছে।আপনি শুধু আমাকে প্রেম ভক্তি দিন।’
বিরাটের প্রশংসা প্রেমানন্দ মহারাজের:
বিরাট কোহলির প্রশংসা করেন এদিন প্রেমানন্দ মহারাজ। তিনি বলেন, আমরা সাধনার মাধ্যমে প্রসন্ন করছি, বিরাট নিজের খেলার মাধ্যমে সকলকে প্রসন্ন করছে। এটাও তো তাহলে একপ্রকার সাধনা হল। সে যখন ভালো খেলে এবং ম্যাচ জেতায় তখন সারা দেশে আনন্দের বাতাবরণ তৈরি হয়, বাজি ফাটানো হয়। এটাই তো তার সাধনা। তার সঙ্গে পুরো ভারত যুক্ত। সে যদি জেতে তাহলে ভারতের প্রতিটি লোক জেতে। তার জন্য এটাই সাধনা।’
বিরাটকে যা পরামর্শ দিলেন প্রেমানন্দ মহারাজ:
বিরাটকে নিজের অনুশীলনে কোনও খামতি যাতে না থাকে তা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন প্রেমানন্দ মহারাজ। তিনি বলেন, ‘আমাদের অভ্যেসের উপর নজর দেওয়া উচিত। আমাদের অভ্যেসে কোনও খামতি থাকলে চলবে না। আমরা যদি আমাদের লক্ষ্যে স্থির থাকি এবং দৃঢ়তা দেখাতে পারি, তাহলেই আমরা আমাদের জীবনে উন্নতি করতে পারব।’ এরপর প্রেমানন্দ মহারাজ বলেন, ‘এরা খুবই সাহসী। এই সংসারে এত নাম-সম্মান পাওয়ার পরেও তারা ভক্তির পথ বেছে নিয়েছে। এটা মোটেও সহজ কাজ নয়।’