অভিমান করে ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরায় চলে গিয়েছিলেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। ভিনরাজ্যের হয়ে মাঠে নেমে একেবারে ব্যর্থ হয়েছেন এমনটা নয়। তবে পরিচিত ছন্দে ধরা দিতে পারেননি তিনি। এবার সেই ঋদ্ধির সঙ্গে বাংলা ক্রিকেটে ফিরে এসেছেন সুদীপ। ঘরে ফিরেই চেনা মেজাজে বাংলার তারকা ব্যাটার।
লখনউয়ে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ১১৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৯৩ রান। অর্থাৎ, অল্পের জন্য ব্যক্তিগত শতরান হাতছাড়া করেন সুদীপ। ঠিক তার পরেই কলকাতায় কেরলের বিরুদ্ধে একটি ইনিংসে ব্যাট করে ৫৭ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন সুদীপ।
এবার বেঙ্গালুরুতে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ফের হাফ-সেঞ্চুরি করেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। অর্থাৎ, চলতি রঞ্জি ট্রফির চারটি ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১টি সেঞ্চুরি ও ৩টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন সুদীপ।
চিন্নাস্বামীতে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে এলিট সি-গ্রুপের ম্যাচে মাঠে নামে বাংলা। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে তারা। শুভম দে-কে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নামেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। শুভম শূন্য রানে আউট হলেও ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি আগে থামানো যায়নি সুদীপকে। তিনি ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১২ বলে অর্ধশতরানের গণ্ডি টপকান। যদিও তার পরেই আউট হয়ে বসেন তিনি। সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ১২০ বলে ৫৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ হন সুদীপ ঘরামি। তিনি ৪৫ বলে ৫ রানের অত্যন্ত ডিফেন্সিভ ইনিংস খেলে আউট হন। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়কোচিত দৃঢ়তায় দলকে টেনে নিয়ে যান অনুষ্টুপ মজুমদার। তিনি ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮০ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। প্রথম দিনের চায়ের বিরতিতে বাংলা তাদের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করে ৩ উইকেটে ১৭২ রান।
চায়ের বিরতির পরে ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন অনুষ্টুপ মজুমদার। তিনি ১৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৫৭ বলে ১০০ রানের গণ্ডি টপকান। এটি তাঁর ফার্স্ট ক্লাস কেরিয়ারের ১৭তম শতরান।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলা তাদের প্রথম ইনিংসে ৬৭.৪ ওভার ব্যাট করে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২০১ রান তুলেছে। অনুষ্টুপ আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ১০১ রানে। খেলেছেন ১৬৪টি বল। যদিও লড়াই জারি রেখেছেন শাহবাজ আহমেদ। তিনি ৩৪ রান করে অপরাজিত রয়েছেন। মেরেছেন ৩টি চার।