গোয়ার হয়ে রঞ্জি ট্রফির প্লেট গ্রুপে খেলতে নেমে নজির গড়লেন অর্জুন তেন্ডুলকর। এমনিতে তাঁর মতো নজির অনেক ক্রিকেটারেরই আছে, মানে যারা অলরাউন্ডার আর কি। কিন্তু তিনি তো সচিনে তেন্ডুলকরের পুত্র। তাই সব সময়ই নিজের ছায়ার সঙ্গেই যুদ্ধ চলে তাঁর। তাই সবেতেয় তুলনা টানা হয় বাবার সঙ্গে। এবার তিনি এমন এক নজির গড়লেন, যেটা তাঁর বাবারও কখনও ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে করতে পারেননি।
আরও পড়ুন-অজিভূমে যাওয়ার আগেই স্লেজিং শুরু, খারাপ ফর্ম নিয়ে বিরাটকে মারাত্মক খোঁটা দিলেন পন্টিং
বাবাকে ছাপিয়ে গেলেন ছেলে অর্জুন-
সচিন তেন্ডুলকর বিশ্বক্রিকেটের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার,এই নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশই নেই।সেটা টেস্ট হোক কি ওডিআই, এখনও রানের চূড়ায় বসে রয়েছেন তিনি। বল হাতে তাঁর উইকেট সংখ্যা যতগুলো, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনেক বড় বড় স্পিনারেরও তা নেই। কিন্তু এবার বাবাকে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে ছাপিয়ে গেলেন ছেলে অর্জুন।
গোয়ার হয়ে ফাইফার অর্জুনের-
অরুণাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে ফাইফার অর্থাৎ পাঁচ উইকেট নিয়ে একই ইনিংসে, গোয়ার হয়ে খেলতে নামা অর্জুন তেন্ডুলকর। ৯ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৫ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন পাঁচ উইকেট। অরুণাচলের ব্যাটিং লাইন আপে একাহাতেই ধস নামিয়ে দেন এই বাঁহাতি পেসার তথা অলরাউন্ডার। গোয়া ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে বিপর্যস্ত অবস্থা হয় অরুণাচলের।
আরও পড়ুন-ODI ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে গিয়েছে! অথচ নিজেই জানতেন না! অবাক করা গল্প বললেন পাক ক্রিকেটার!
প্রথম পাঁচটি উইকেটই অর্জুনের-
২৫ বছর বয়সী এই পেসার শুরুতেই আউট করেন ওপেনার নাবাম হাচাংকে। এরপর নিলাম ওবি এবং চিন্ময় পাতিলকেও কম রানে সাজঘরে ফেরান তিনি। অরুণাচলের ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম পাঁচটি উইকেটই তুলে নেন অর্জুন। একটা সময় তাঁদের স্কোর হয়ে গেছিল ৫ উইকেটে ৩৬ রান। ৩১ ওভারের মধ্যে মাত্র ৮৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় অরুণাচলের প্রথম ইনিংস।
আরও পড়ুন-'আমাদের দেশে আসছে না তো, আমরাও আর ভালো ব্যবহার…'! BCCIকে চরম বার্তা পাকিস্তানের…
ফাইফারের পাশাপাশি কেরিয়ারে শতরানও-
অর্জুনের পাঁচ উইকেটের পাশাপাশি মোহিত রেদকার নেন তিন উইকেট এবং মার্ক পিন্টো নেন দুই উইকেট। এর আগে গোয়ার জার্সিতে একটি শতরানের পাশাপাশি দুটি অর্ধশতরানও রয়েছে অর্জুন তেন্ডুলকরের। এর আগে ১৬টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচে অর্জুন তেন্ডুলকরের ঝুলিতে ছিল ৩২টি উইকেট।
সচিনের সঙ্গে তুলনাই হয়না-
প্রসঙ্গত ফার্স্ট ক্লাস কেরিয়ারে সচিন তেন্ডুলকরেরও শতরান এবং ফাইফারের কৃতিত্ব নেই। তবে বাবার সঙ্গে ছেলের তুলনা হয়না, কারণ বাবা বরাবর খেলতেন মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জির এলিটে। আর ছেলে এলিটে খেলার সুযোগ না পেয়ে ভিনরাজ্যের দলের হয়ে প্লেট গ্রুপে খেলেন। ফলে প্রতিপক্ষ ব্যাটার বা বোলাররাও দেশের সেরা মানের নয়।