ভারতের তরুণ পেসার আর্শদীপ সিং নিজের বোলিংয়ের মাধ্যমে সকলকে মুগ্ধ করেছেন। টি-২০ বিশ্বকাপেও নজর কেড়েছিলেন তিনি। বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে রয়েছেন তিনি। আর্শদীপের সবচেয়ে বড় গুণ, তিনি চাপের সময়েও নিজেকে খুব শান্ত রাখেন এবং বেসিক জিনিসগুলোর উপর ফোকাস থাকেন। লাগাতার দ্রুত গতিতে ইয়র্কার করার ক্ষমতা তাঁকে ডেথ ওভার স্পেশালিস্ট হিসেবে পরিচয় গড়ে দিয়েছে। তিনি ২০২২-এ অভিষেক হওয়ার পর থেকে ৫৮টি টি-২০ ম্যাচে ৮৯টি উইকেট নিয়েছেন, গড় ১৮-র আশেপাশে।
নিজের ডেথ ওভারের বোলিং সম্পর্কে বলতে গিয়ে আর্শদীপ বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা নির্ভর করে উইকেট এবং পরিস্থিতির উপর। এটা নির্ভর করে দল আমার থেকে কী চাইছে, তারা আমার থেকে উইকেটের প্রত্যাশা করছে না রান আটকানোর, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’ ডেট ওভারে বোলিং করার সময় সফল এবং ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা সব সময় সমান সমান, এখানে কোনও কিছুর নিশ্চয়তা নেই বলে তিনি স্বীকার করেছেন তিনি। আর্শদীপ বলেন, ‘আপনি যখন ডেথ ওভারে বোলিং করবেন তখন কোনও দিন আপনার ভালো যাবে, আবার কোনও দিন খারাপ। আপনাকে দুটোই সমান ভাবে নিতে হবে। ডেথ ওভার নিয়ে বেশি ভাবার কিছু থাকে না। যখন আপনি প্রথমে ২ ওভার করছেন এবং শেষে ২ ওভার, তখন আপনাকে ঝুঁকি নিতে হয়। সেই সময় আপনার হাতেই ম্যাচের ভাগ্য, সেখান থেকে আপনি গেম জিততেও পারেন, আবার ফস্কেও যেতে পারে। আমি তাই সবসময় দলের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আমি বিষয়গুলোকে যতটা সম্ভব সহজ ভাবে ভাবার চেষ্টা করি।’ প্রসঙ্গত দ্বিতীয় ম্যাচে বরুণ পাঁচ উইকেট নেওয়ার পরেও ভারত হেরেছে, কারণ আর্শদীপ ও আবেশ একেবারেই প্রভাব ফেলতে পারেননি ডেথ ওভারে। তবে কেন সূর্য বোলিং দিলেন না অক্ষরকে, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
অন্যদিকে বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও জোর দিচ্ছেন আর্শদীপ। তিনি এই বিষয়ে বলেন, ‘যখন উইকেট ফ্ল্যাট হয়, মিডিয়াম পেসার বল করে, তখন আমি খেলতে ভালোবাসি। স্পিনারের হাফভলিও পছন্দ করি। তবে আমি আমার ব্যাটিং উন্নত করার চেষ্টা করছি যাতে দলের হয়ে নিজের সেরাটা দিতে পারি। নেটেও আমি নিজেকে নিজে চ্যালেঞ্জ করছি, যাতে আমি ক্রিকেটের ৩ বিভাগের জন্যই নিজেকে গড়ে তুলতে পারি।’ আর্শদীপ ড্রেসিংরুমে জসপ্রীত বুমরাহ সহ বোলিং লেজেন্ডের থেকে অনেক পরামর্শ পেয়েছে, যা তাঁকে আরও উন্নতি করতে সাহায্য করেছে। তিনি বলেন, ‘আমি বর্তমানকে উপভোগ করতে পছন্দ করি। তাই জন্য আমি মাঠে এবং মাঠের বাইরে সবসময় মজা করি- এটাই আমার সফল হওয়ার মন্ত্র। বোলিং লেজেন্ডসদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করা, তাদের খেলা সমানে থেকে দেখা এসব অনেক কিছু শেখায়। আমি সবসময় শেখার চেষ্টায় থাকি এবং দলের জন্য ভালো করার চেষ্টা করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি আমি জেস্সি (বুমরাহ) ভাইয়ের মতো একজন ভালো বোলিং পার্টনার পাওয়ায় খুবই ভাগ্যবান। সে অন্যদিকে থেকে বোলিংয়ের মাধ্যমে ব্যাটসম্যানদের উপর চাপ তৈরি করে আমায় অনেক উইকেট নিতে সাহায্য করেছে।’ আর্শদীপ সূর্যকুমারের অধিনায়কত্বের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘সে একজন দৃঢ় মানসিকতার লোক। ও যেভাবে হার-জিতকে ম্যানেজ করে এবং নিজের অনুভূতিগুলোকে কন্ট্রোল করে তা প্রশংসনীয়।’