বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টি২০ ম্যাচেই নজর কেড়েছেন আর্শদিপ সিং। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই তিনি তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। সেই সুবাদেই সহজেই জয় তুলে নেয় ভারতীয় দল। টিম ইন্ডিয়ার এই সিরিজে পেসারদের মধ্যে সব থেকে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারই। গতবার ওডিআই বিশ্বকাপের পর থেকেই টিম ইন্ডিয়ার বোলিংয়ের অন্যতম বড় ভরসা হয়ে উঠেছেন এই বাঁহাতি পেসার।
আরও পড়ুন-যুদ্ধের আবহে ইরানে খেলতে না যাওয়ার শাস্তি! ACL-2 থেকে ছেঁটে ফেলা হল মোহনবাগানকে…
ভারতীয় টি২০ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন আর্শদিপ। জসপ্রীত বুমরাহর সঙ্গে তিনিও প্রতি ম্যাচেই অসম্ভব ভালো লাইন লেন্থে বোলিং করে ভারতকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করেছিলেন। সেই আর্শদিপ সিংই জানাচ্ছেন, কোনও মন্ত্রে সাফল্য পান তিনি। বর্তমান নিয়েই বেশি ভাবতে পছন্দ করেন, ভবিষ্যৎকে ছাড়েন আগামীর হাতেই।
আরও পড়ুন-‘তোমাদের ভালোবাসার দাম দেব’! দায়িত্ব নিয়েই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের বললেন নতুন কোচ অস্কার…
সাফল্যের মন্ত্র জানালেন আর্শদিপ-
ইতিমধ্যেই দেশের জার্সিতে ৫৫টি টি২০ ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে আর্শদিপ সিংয়ের। মাত্র ২ বছরেই এতগুলো ম্যাচ খেলেছেন এই বাঁহাতি পেসার। তিনি বলছেন, ‘আমি আমার খেলা উপভোগ করছি, বুঝতেও পারছি না কিভাবে এত তাড়াতাড়ি দুবছর সময় কেটে গেল। আমি সব সময়ই বর্তমান নিয়ে ভাবতে পছন্দ করি। ভালো খারার সঙ্গে নিয়েই থাকতে চাই ’।
ভারতীয় দলের এই তারকার মতে, ‘আমার জীবনের মন্ত্র হচ্ছে বর্তমান নিয়ে বাঁচা। আজ যদি আমার রেস্ট ডে হয়, তাহলে আমি আজকের রেস্ট ডে উপভোগ করব। কালকের বিষয়টা কালকেই দেখব। টি২০ বিশ্বকাপ এখনও দুবছর দেরি আছে, ফলে এখন থেকেই ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব বেশি আমি ভাবছি না’।
টি২০র সঙ্গে টেস্টের পার্থক্য কতটা?
দলীপ ট্রফিতে বল হাতে ভালো পারফরমেন্স ছিল তাঁর। লাল বলেও ভালো পারফরমেনস নিয়ে তিনি বলছেন, ‘আমি যেই ফরম্যাটেই সুযোগ পাব সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। প্রত্যেক ফরম্যাটে খেললে, কিভাবে খেলার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যায়, সেগুলোই দ্রুত শিখে নেওয়া যায়। টেস্টের ক্ষেত্রে যেমন ধৈর্য্য ধরা শিখিয়ে দেয়, আবার টি২০র ক্ষেত্রে ভাবতে হয় একজন ব্যাটারের ভাবনা চিন্তা ’।