চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে ভারত। এবারের টিমের সবচেয়ে বড় চমক- শুভমন গিলকে সহ অধিনায়ক নির্বাচন করা। যদিও ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে বিশেষজ্ঞ এবং সমর্থকদের মধ্যে। জসপ্রীত বুমরাহ, বিরাট কোহলির মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থাকতে কেন শুভমনকে রোহিতের ডেপুটি নির্বাচন করা হল সেটা বুঝতে পারছেন না অনেকেই। আর এই বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সদ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো এই অলরাউন্ডার নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘অ্যাশ কি বাত’- এ এই প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, শুভমন গিল এমন একজন ক্রিকেটার যে হয়তো সব ম্যাচে খেলবে বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। সেই কারণেই এরকম সিদ্ধান্ত বোর্ডের।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্তটি সঠিক না ভুল সেই বিষয়ে যাচ্ছি না, তবে এর পেছনের কারণটা ঠিক। সে আগের সিরিজে সহ অধিনায়ক ছিল। কখনও কখনও টেস্ট ম্যাচেও তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, হয়তো এই ক্ষেত্রে আমি ভুল হতেও পারি।’ শুভমন গিলকে নিয়ে আলোচনার মূল কারণ হল, তাঁর সাম্প্রতিক খারাপ ফর্ম। অস্ট্রেলিয়া হোক বা ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ - কোনওটাতেই তাঁকে ছন্দে দেখা যায়নি। কিন্তু এটাও একটা বিষয় যে তাঁর ওডিআই ক্রিকেটের পরিসংখ্যান যথেষ্ট চোখে পড়ার মতো। গিল দেশের হয়ে একদিনের ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত ৪৭ ইনিংসে ৫৮.২০ গড়ে ২৩২৮ রান করেছেন।
অশ্বিন মনে করেন ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই গিলকে সহ অধিনায়ক নির্বাচন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে নেওয়া হয়েছে। তারা এমন কারোর সন্ধানে রয়েছে যে ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এখন আপনি বলতে পারেন যে অক্ষর প্যাটেল যে তাহলে টি-২০ দলের সহ অধিনায়ক, তাকে কেন করা হল না? সেখানে একটা লড়াই আছে জাদেজা এবং অক্ষরের মধ্যে। ঋষভ এবং কেএল রাহুলের মধ্যেও একই জিনিস রয়েছে। এদর মধ্যে যেকোনও একজনই প্রথম একাদশে সুযোগ পাবে। কিন্তু এমন একজনকে সহ অধিনায়ক করতে হবে যে দলের প্রথম একাদশে নিশ্চিত ভাবে সুযোগ পাবে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে দল একজন স্থায়ী সহ অধিনায়ককে খুঁজছে। ভবিষ্যতে যদি অধিনায়ক হিসাবে শুভমনকে ভাবা হয় তবে তাকে বিরাট-বুমরাহের পথ অনুসরণ করতে হবে।’