শুভব্রত মুখার্জি: রবিবারেই এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং শ্রীলঙ্কা। ফাইনাল ম্যাচে মহম্মদ সিরাজের দুরন্ত বোলিংয়ে ভর করে সহজ এক জয় তুলে নেয় ভারতীয় দল। ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতে এশিয়া কাপের শিরোপা জয় নিশ্চিত করে ভারত। আর এরপরেই কী ভারতকে কটাক্ষকারীদের একহাত নিয়েছেন প্রাক্তন কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর।
কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। তারপরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচে টানটান লড়াইয়ের পর জয় পায় ভারত। এরপরেই নেটিজেনদের একাংশ দাবি করে ভারত ষড়যন্ত্র করে পাকিস্তানকে হারিয়েছে। আর এই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আমদানীকারীদের এশিয়া কাপ জয়ের পরেই একহাত নিয়েছেন সুনীল গাভাসকর।
মিড-ডে নামক এক সংবাদাপত্রে সুনীল গাভাসকর লিখেছেন, 'জোরে থাপ্পড় খেয়েছে আমাদের বর্ডারের পশ্চিম পাশে থাকা নিন্দুকেরা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারত ২১৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। কম রানে আউট হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত ওই ম্যাচ জিতেছিল।তারপরেই ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব সামনে আনে সমালোচকদের একাংশ। অনেকেই বলেছিলেন ভারতের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচ নাকি ইচ্ছা করে হেরেছিল শ্রীলঙ্কা যাতে করে ফাইনালে যেতে পারে ভারত। আর ফাইনালে যাওয়ার সমীকরণ কঠিন হয়ে যায় পাকিস্তানের সামনে। ওই নির্বোধ মানুষরা কি এটা কখন ও ভেবে দেখেছে যে ভারত, শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে গেল। পাকিস্তান হারিয়ে দিল শ্রীলঙ্কাকে। আর ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্ত গেল।তাহলে ফাইনালে তো ভারত কোয়ালিফাই করতোই না। কি কারণে তাহলে শ্রীলঙ্কার কাছে ইচ্ছাকৃতভাবে হারত ভারত? অপদার্থরা আমাকে বলতে পারেন?'
তিনি আরও যোগ করেন, 'পাকিস্তান যখন শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে যায় তারা টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে যায়। আমি তো আশা করেছিলাম নির্বোধরা এরপরেও ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব সামনে আনবে। ভারতকেই দোষারোপ করবে এই হারের জন্য। তারা তো সবকিছু ভুলে যায় তাই না। তারা তখন টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার জন্য তাদের অধিনায়ক বাবর আজমকেই দোষারোপ করা শুরু করে। এরা একেবারেই নির্বোধ। এই একধরনের ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খাড়া করা হয়েছিল ২০১৯ বিশ্বকাপেও। সেবার ইংল্যান্ডের কাছে ভারত হারের পর এই তত্ত্ব সামনে এসেছিল। অভিযোগ ছিল এম এস ধোনিরা ইচ্ছা করে স্লো ব্যাটিং করেছে। লোকে ভুলে গিয়েছে যে ইংল্যান্ড ও যথেষ্ট ভালো বোলিং করেছিল সেইদিন।'