এশিয়া কাপের ফাইনালের ম্যাচ হচ্ছে নাকি পাড়ার ক্রিকেট! ১৫.২ ওভারে মাত্র ৫০ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ভারতের দুর্ধর্ষ বোলিংয়ের পাশে জঘন্য ব্যাটিং শ্রীলঙ্কার। একদিনের ক্রিকেটে এটাই শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৪৩ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কার ইনিংস। আজ ৫০ রানেই আত্মসমর্পণ। ভারতীয় পেস আক্রমণের অসহায় লাগছিল লঙ্কান ব্যাটারদের। একা ৬ উইকেট নেন সিরাজ। ৩ উইকেট হার্দিক পান্ডিয়ার, ১ উইকেট নিয়েছেন বুমরাহ।
এদিনের ফাইনালে মোট ১২৯ বলের মধ্যেই ফলাফল নির্ধারিত হয়ে যায়। অর্থাৎ দুই ইনিংস মিলিয়ে খেলা হল ১২৯ বল। আর সেই সঙ্গে এটি পুরুষদের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ততম ওয়ানডেগুলির তালিকায় নাম তুলে ফেলল। এই তালিকায় তিনে জায়গা করে নিয়েছে রবিবারের এশিয়া কাপের ভারত-শ্রীলঙ্কার মধ্যে ফাইনাল ম্যাচ। তালিকার শীর্ষে রয়েছে নেপাল বনাম ইউএস ম্যাচ। ২০২০ সালে এই ম্য়াচটিতে দুই ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ১০৪ বল খেলা হয়েছিল। দুইয়ে রয়েছে ২০০১ সালের শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবোয়ে ম্যাচ। ম্যাচটিতে দুই ইনিংস মিলিয়ে খেলা হয়েছিল ১২০ বল। আন্তর্জাতিক টেস্ট খেলিয়ে দেশগুলির মধ্যে অবশ্য এটি সংক্ষিপ্ততম ওডিআই ম্যাচের নজির।
ভারতীয় পেসাররা তো এদিন নিঃসন্দেহে আগুনে পারফরম্যান্স করেছেন। তবে তাদের কৃতিত্ব এতটুকু খাটো না করেও বলতে দ্বিধা নেই, শ্রীলঙ্কার ব্য়াটাররা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। মনেই হচ্ছিল না, এশিয়া কাপের মতো টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলতে নেমেছে তাঁরা। তাঁদের মানসিকতা দেখে একেবারের জন্যও মনে হয়নি, এটি ৫০ ওভারের ম্যাচ। অবশ্য ২০ ওভারের ম্যাচ হলেও বা কী আহামরি পারফরম্যান্সই বা করেছে লঙ্কা ব্রিগেড। ১৫.২ ওভারেই শেষ ইনিংস। যে কোনও ফাইনালে সর্বনিম্ন স্কোরের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কার এই ইনিংস।
আরও পড়ুন: চাপ সামলাতে না পারলে, জাতীয় দলে খেলার অধিকার নেই- বাবরকে কটাক্ষ পাক প্রাক্তনীর
এদিন শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর করেছেন কুশল মেন্ডিস। তিনি ১৭ রান করেছেন। এছাড়া দূষন হেমন্ত ১৩ রান করেছেন। বাকিরা এক অঙ্কের ঘরেই গড়াগড়ি করেছেন। পাঁচ জন ব্যাটার শূন্যতে সাজঘরে ফিরেছেন। ৫১ রান তাড়া করতে নেমে ঝড়ের গতিতে শুরু করেন ইশান কিষান এবং শুভমন গিল। এদিন ওপেন করেননি রোহিত শর্মা। পাঠান ইশানকে। ২৩ রানে (১৮ বলে) অপরাজিত থাকেন ভারতের উইকেটকিপার ব্যাটার। অপরাজিত ২৭ রান (১৯ বলে) করেন শুভমন। ৬.১ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৫১ রান করে ফেলে ভারত। ২৬৩ বল বাকি থাকতে ১০ উইকেটে ম্যাচ পকেটে পুড়ে ফেলে রোহিত শর্মা ব্রিগেড।