অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। ২০২৩ এশিয়া কাপের জন্য ভারত ১৭ জনের দল ঘোষণা করল। আর সেই দলে চোট সারিয়ে প্রত্যাবর্তন করেছেন কেএল রাহুল এবং শ্রেয়স আইয়ার। রাহুল উরুর চোট সারিয়ে দলে ফিরেছেন। আর শ্রেয়স আবার পিঠের চোট থেকে যথাসময়ে সেরে উঠে এশিয়া কাপের দলে ঢুকে পড়েছে।
তবে দল ঘোষণার আগে থেকেই রাহুল এবং শ্রেয়স আইয়ারের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন ছিল। তাঁদের দু'জনেরই চোটের জায়গায় অস্ত্রোপচার হয়েছিল। এবং তাঁরা এত দিন এনসিএ-তে রিহ্যাবে ছিলেন। দুই তারকা প্লেয়ারই কিন্তু কোনও টুর্নামেন্ট না খেলে, সরাসরি এশিয়া কাপের দলে ঢুকে পড়েছেন। জসপ্রীত বুমরাহ যেমন চোট সারিয়ে আয়ারল্যান্ড সফরে গিয়েছেন। এবং তাদের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সাফল্যও পাচ্ছেন। কিন্তু রাহুল বা শ্রেয়সের ক্ষেত্রে সেরকম কিছু ঘটেনি। প্রসঙ্গত, শ্রেয়স আইয়ার শেষ বার মার্চে খেলেছিলেন এবং কেএল রাহুল মে মাসে খেলেছিলেন।
অজিত আগরকার যোগ করেছেন যে, শ্রেয়স ‘সম্পূর্ণ ফিট’ হলেও রাহুলের এখনও সামান্য সমস্যা রয়েছে। তাঁর ‘নিগল’ রয়েছে। যে কারণে সঞ্জু স্যামসনকে রিজার্ভ খেলোয়াড় হিসেবে দলে রাখা হয়েছে। স্কোয়াড ঘোষণার পর আগরকর বলেছেন, ‘বুমরাহ এবং প্রসিধ সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছে। এবং ওরা এখন ভালো জায়গায় রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। শ্রেয়স ফিট, রাহুলের রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারে বিসিসিআই। সামান্য নিগল রয়েছে, তবে এটা নিয়ে কিছু করার নেই। মেডিকেল টিম যা বলবে, সেটা অনুসরণ করতে হবে। তাই (সঞ্জু) স্যামসন রিজার্ভ উইকেটকিপার হিসেবে দলের সঙ্গে ভ্রমণ করবে।’
তিনি যোগ করেছেন, ‘এশিয়া কাপের শুরুতে না হলেও, সম্ভবত দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ম্যাচ থেকে রাহুল পুরো ফিট হয়ে দলে ফিরবে। ও ট্র্যাকে ভাল করছে। শ্রেয়স আইয়ার ফিটনেস পাস করেছে। আমাদের জন্য দু'টি গুরুত্বপূর্ণ দল হবে। ৫ সেপ্টেম্বরের আগে আমরা বিশ্বকাপের দল বাছব না। আমরা তাতে আরও কিছুটা সময় পাব।’
টিম ম্যানেজমেন্ট আশ করছে, টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই রাহুল একেবারে সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন। ইতিমধ্যেই ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের মেডিক্যাল টিম রাহুলের ফিটনেস সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছে। তবে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, সমস্যা থাকলে, কেন রাহুলকে দলে রাখা হল?
আরও পড়ুন: আমিরশাহি ভালো লড়াই দেওয়ায় খুশি, কোনওক্রমে সিরিজ জিতে দাবি সাউদির
এদিকে শিখর ধাওয়ানের সব আশা শেষ। তাঁকে দলে না রাখা প্রসঙ্গে আগরকারের দাবি, ভারতের ইতিমধ্যেই স্কোয়াডে তিনজন ওপেনার রয়েছে। তিনি বলেওছেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের তিন জন ওপেনার আছে। হ্যাঁ শিখর একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড়। কিন্তু এই মুহুর্তে ওই জায়গার জন্য আমাদের তিন জন প্লেয়ার আছে, যারা সত্যিই ভালো ছন্দে রয়েছে এবং পারফরম্যান্সও করছে।’
দলে বাঁ-হাতি তিলক বর্মাও জায়গা করে নিয়েছেন। টি-টোয়েন্টি অভিষেক হলেও, ওয়ানডে-তে তাঁর এখনও অভিষেক হয়নি। তিলককে নিয়ে আগরকার বলেছেন, ‘তিলক (ভার্মা) সত্যিকারের প্রতিশ্রুতিবান। তিনি আগ্রাসী মেজাজ দেখিয়েছেন। ওকে দলে রাখাটা ভালো বিষয়। সৌভাগ্যবশত আমরা ১৭ জনের দলে ওকে নিতে পেরেছি। এটি ওর জন্য বড় সুযোগ।’
এশিয়া কাপ ২০২৩-এর জন্য ভারতের স্কোয়াড: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, শুভমন গিল, লোকেশ রাহুল (উইকেটরক্ষক), শ্রেয়স আইয়ার, হার্দিক পান্ডিয়া (সহ-অধিনায়ক), রবীন্দ্র জাদেজা, জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজ, কুলদীপ যাদব, ইশান কিষান (উইকেটরক্ষক), অক্ষর প্যাটেল, শার্দুল ঠাকুর, সূর্যকুমার যাদব, তিলক বর্মা, প্রসিধ কৃষ্ণ।
রিজার্ভ প্লেয়ার: সঞ্জু স্যামসন।