এশিয়া কাপ দেখতে স্টেডিয়ামে দর্শক আসছে না। যে কারণে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট রবিবার এশিয়া কাপের জন্য টিকিটের দাম ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিয়েছে। যখন খরচ ৪০ গুণ বাড়ানো হয়েছিল এবং ম্যাচগুলি প্রায় খালি স্টেডিয়ামে খেলা হচ্ছিল। সঙ্কট-বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কায় একদিনের আন্তর্জাতিকের টিকিটের দাম আগে ছিল প্রায় ২৫০ টাকা।
এশিয়া কাপের পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত ম্যাচগুলিতে টিকিটের দাম ১০ হাজার টাকা হয়ে গিয়েছিল, অথচ শ্রীলঙ্কায় পুরো খরা। স্টেডিয়ামেই আসছেন না দর্শকেরা। কলম্বোর মানুষ ক্রিকেট পাগল। তবুও সুপার ফোরের ম্যাচগুলিতে ফাঁকা থাকছে স্টেডিয়াম। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ৩৫,০০০ সিট রয়েছে। শনিবার বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার সুপার ফোরের লড়াইয়ের জন্য সেখানে মাত্র ৭,০০০ সমর্থক উপস্থিত হয়েছিল। যা শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডের কাছে বিব্রতকর পরিস্থিতি হয়ে উঠেছিল।
শেষ পর্যন্ত দর্শক মাঠে আনতে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট রবিবার বাকি সমস্ত সুপার ফোরের খেলার জন্য ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত টিকিটের দাম কমানোর ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের মতো হাইপ্রোফাইল ম্যাচও রয়েছে। এই ম্যাচের টিকিটের দাম ৫০০ টাকার মতো করা হয়, তাতেও কোনও লাভ হয়নি।
আসলে সম্প্রতি আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে দেশ। তাই হাতে টাকা নেই। যাঁরা অন্য দেশ থেকে খেলা দেখতে এসেছেন, তাঁদের কথা আলাদা। কিন্তু শ্রীলঙ্কাবাসীর কাছে এই ম্যাচ দেখা এখন বিলাসিতার সমান। সে টিকিটের দাম যতই কম হোক না কেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শ্রীলঙ্কার এক স্থানীয় কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, ‘পাকিস্তান টিকিটের মূল্য অনেক বেশি রেখেছে এবং এটি ভক্তদের স্টেডিয়াম থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে।’
রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে খুবই কম দর্শক উপস্থিত ছিল, যেটা কল্পনাও করা যায় না। এই ম্যাচের জন্য গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড টিকিটের দাম ছিল ৬৪ হাজার টাকা। এতে ভক্তরা মোটেও খুশি হয়নি।
কলম্বো স্টেডিয়ামের বাইরে চা বিক্রেতা সুপুন বিজয়রথনাম এএফপিকে বলেন, ‘এটা ভালো বিষয় নয়। আমরা ক্রিকেট ভালোবাসি। কিন্তু ম্যাচ দেখার জন্য এত টাকা দিতে পারি না। আমি এখানে মাত্র ১০০ এবং ২০০ টাকায় অনেক ম্যাচ দেখেছি। কিন্তু এবার আমাকে টিভিতেই দেখতে হবে।’
বিশ্বের যে স্টেডিয়ামেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হোক না কেন, গত ১০ বছরে এই উত্তেজক হাইপ্রোফাইল লড়াই দেখতে লোকে বহু টাকা খরচ করে টিকিট কেটে থাকেন। বিশ্বকাপের ভারত-পাক ম্যাচের টিকিটের দাম উঠছে লাখ লাখ টাকা। অথচ শ্রীলঙ্কায় পুরো উল্টো চিত্র। যা দেখে হতাশ আয়োজকেরাও।