এবারের এশিয়া কাপ একক ভাবে আয়োজনের দায়িত্বে ছিল পাকিস্তান। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড দল পাঠাতে নারাজ থাকায় বিতর্ক কম হয়নি দুই দেশের মধ্যে। একটা সময় বিসিসিআই জানিয়ে দেয় এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যাবে না ভারতীয় দল। বিসিসিআইকে চাপে রাখতে পিসিবিও জানা, এশিয়া কাপে ভারত পাকিস্তানে খেলতে না আসলে তারাও বিশ্বকাপ খেলতে যাবে না।
দুই বোর্ডের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। বাধ্য একাধিক বৈঠক করেও সুরাহা মেলেনি। বাধ্য হয়েই হাইব্রিড মডেলে এশিয়া কাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় পিসিবি। পাকিস্তান এশিয়া কাপ আয়োজনের দায়িত্ব থাকলেও শ্রীলঙ্কার মাটিতে ভারত সব ম্যাচ খেলবে। সেই শর্তেই রাজি হয় বিসিসিআই। যদিও দুই দেশের বোর্ডের মধ্যে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। তবে এশিয়া কাপ যদি পাকিস্তান একক ভাবে আয়োজন করত তাহলে পাকিস্তানের ক্রিকেটে অনেক পরিবর্তন ঘটত। এমনটাই মনে করছেন পাকিস্তান দলের অধিনায়ক বাবর আজম।
এশিয়া কাপ শুরুর ঠিক আগেই সাংবাদিক সম্মেলনে এসে এমনটাই বলেন পাক অধিনায়ক। বাবর বলেন, 'যদি আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে আমি বলব এশিয়া কাপ পাকিস্তানের মাটিতে হলে সবচেয়ে ভালো হত। সেক্ষেত্রে দেশের ক্রিকেটের মানচিত্রে অনেকটাই বদল দেখা দিতে পারত। কিন্তু পুরো টুর্নামেন্ট এখানে বসছে না, ফলে এই নিয়ে ভেবে কোনও লাভ নেই।'
আজ অর্থাৎ ৩০ আগস্ট এশিয়া কাপ শুরু হচ্ছে। প্রথম ম্যাচে নামছে পাকিস্তান এবং নেপাল। এই ম্যাচের ঠিক কয়েক ঘন্টা ব্যবধানে অর্থাৎ ২ সেপ্টেম্বর ভারতের বিরুদ্ধে হাইভোল্টেজ ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান শ্রীলঙ্কার পালেক্কেলে। স্বাভাবিক ভাবেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার ধকল সামলানো যে বেশ কঠিন তা ভালো করেই জানেন বাবর। যদিও তিনি একেবারেই তা নিয়ে চিন্তিত নন। পাক অধিনায়ক বলেন, 'আমরা সবাই পেশাদার ক্রিকেটার। ফলে যেখানে খেলা হবে সেখানেই চলে যাব। আমরা মানসিক দিক থেকে সেই ভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের কোচিং স্টাফ এবং টিম ম্যানেজমেন্ট এখটা পরিকল্পনার খসরা সাজিয়েছে। ফলে কোনও রকম সমস্যা হবে না।'
বিশ্বকাপের আগে এই এশিয়া কাপ খুব গুরুত্বপূর্ণ তা ভালো করেই জানেন বাবর। তাই ভারত-পাক ম্যাচ জিতে নিজেদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে রাখতে চান। পাক অধিনায়ক বলেন, 'ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে আলাদা করে বলার কিছু নেই। এই মুহূর্তে আমরা যে ফর্মে রয়েছি তা দিয়েই ভারতকে হারাতে চাই। তাহলে টুর্নামেন্টে আমরা অনেকটাই এগিয়ে যাব এবং আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে যাবে। আমাদের দলে তিন-চার জন ক্রিকেটার রয়েছে, যারা বেশ ভালো ফর্ম করছে, তাদেরকেই প্রতি ম্যাচে রাখার চেষ্টা করছি, যাতে দলের ভারসাম্য বজায় থাকে।'