এই সপ্তাহের শুরুতে ২০২৩ এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে পাকিস্তান রীতিমতো সমালোচনায় জেরবার হচ্ছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় দিয়ে সুপার ফোর রাউন্ডে একটি শক্তিশালী সূচনা করা সত্ত্বেও, কলম্বোতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের হাতে ২২৮ রানে হারের ধাক্কার পর, আবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচেও হারতে হয়েছে পাকিস্তান। এবং পরপর দুই ম্যাচ হেরে পাকিস্তান সুপার রাউন্ড থেকেই ছিটকে যায়।
অধিনায়ক বাবর আজমকে নিয়েও চলছে তীব্র সমালোচনা। বিশেষ করে পুরো এশিয়া কাপ জুড়ে তাঁর কিছু সিদ্ধান্তের জন্য কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন বাবর। ভারতের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়া খেলা চলাকালীন পাকিস্তান পেসাররা ৬৬ রানে ভারতের ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিল। কিন্তু বাবর তার পরে পেসারদের দিয়ে টানা বোলিং করাননি। যার জেরে ভারত ম্যাচে প্রত্যাবর্তন করে ২৬৬ রান করে ফেলেছিল। এই সিদ্ধান্তের জন্য বাবরকে তীব্র ভাবে সমালোচিত হয়ে হয়। অলরাউন্ডারের খারাপ পারফরম্যান্স সত্ত্বেও শাদাব খানকে খেলিয়ে চলেছিলেন বাবর। এক্ষেত্রে অনেকের যুক্তি ছিল যে, উসামা মিরকে বরং শাদাবের পরিবর্তে একটি সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আগে ভারতের চিন্তা বাড়িয়ে Asia Cup-এর ফাইনাল থেকে ছিটকেই গেলেন অক্ষর
এই সমালোচনার মধ্যে প্রাক্তন পাকিস্তান অধিনায়ক এবং ব্যাটিং কিংবদন্তি ইউনিস খান পাকিস্তানের কিছু সমস্যা পর্যবেক্ষ করে সেগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। ইউনিস খান এআরওয়াই নিউজে বলেছেন, ‘যদি আমরা নামিবিয়ার মুখোমুখি হতাম, আমরা জয়ী দলকেই বজায় রাখতে মনোযোগী হই। আমাদের সংস্কৃতিতে, আমরা মনে করি, সরফরাজ উইকেটরক্ষক হলে রিজওয়ানের সেখানে থাকা উচিত নয়, কারণ এটি সরফরাজের উপর চাপ তৈরি করবে এবং উল্টো ক্ষেত্রে একই হবে। একই ভাবে, বাবর আজম যদি দলের অধিনায়ক হন, ইউনিস খান, যিনি একই ধরনের ব্যাটার, তিনি সহ-অধিনায়ক হতে পারবেন না, কারণ এটি বাবরকে চাপে ফেলবে।’
আরও পড়ুন: দিল্লি দলের কোচের দায়িত্ব পেলেন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক দেবাং গান্ধী
সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘তবে আমি বলব, কেউ যদি এই চাপ সামলাতে না পারে, তা হলে জাতীয় দলে খেলা উচিত নয়। এর জন্য হোমওয়ার্ক করতে হবে। অধিনায়কত্ব আসলে খুব একটা বড় বিষয় নয়। যদি আপনার বোলার একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ভালো পারফরমেন্স না করে, তা হলে তাকে কী ভাবে কাজে লাগাতে হবে, সেটা আপনার জানা উচিত। সব সময়ে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা যায় না। ব্যাটারদেরও একটা পরিকল্পনা থাকে। এখনও কিছু খারাপ হয়নি। যেখানে সমস্যা আছে, সেই জায়গাগুলো ঠিক করতে হবে। ভক্তদের ফেভারিট বলে, সেই প্লেয়ারকে ব্যাক করে যাওয়ার মানে নেই।’