ভারতের কাছে হারতেই পাকিস্তানের ঝোলা থেকে একে একে অজুহাত বের শুরু করেছে। রবিএবং সোমবার মিলে ভারত-পাকিস্তান লড়াই শেষে ২২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন রোহিত শর্মারা। উল্টোদিকে লজ্জায় মুখ পুড়েছে বাবর আজমদের। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার রশিদ লতিফ দু'সপ্তাহ ধরে বাবরদের সফরসূচি শেয়ার করেছেন।
হাইব্রিড মডেল অনুযায়ী, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা মিলিয়েই খেলা হচ্ছে এশিয়া কাপের ম্যাচগুলো। যে কারণে পাকিস্তানকে দুই দেশ মিলেই খেলতে হয়েছে। ফলে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা বারবার যাতায়াত করতে হয়েছে বাবর আজমদের। আর সেটা তুলে ধরেই হয়তো পাকিস্তানের হারের ক্ষততে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন লতিফ।
২০২৩ এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ পাকিস্তান ক্যান্ডিতে নেপালের বিরুদ্ধে খেলেছে। প্রতিযোগিতা শুরুর আগে বাবর বাহিনী ২৫ অগস্ট হাম্বানটোটা থেকে কলম্বো পর্যন্ত সড়কপথে যাত্রা করেছিল। ২৭ অগস্ট কলম্বো থেকে মুলতানের বিমানে করেই উড়ে গিয়েছে। ওই একই দিনে আবার মুলতান থেকে লাহোরে গিয়েছে তারা।
তদুপরি ৩০ অগস্ট মুলতানে এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করার পর, পাকিস্তান ৩১ অগস্ট বিমানে মুলতান থেকে কলম্বো ভ্রমণ করেছিল এবং ওই দিনই সড়কপথে যাত্রা করে পাল্লেকেলেতে পৌঁছয় তারা। ২ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ছিল পাল্লেকেলেতে।
আরও পড়ুন: কী করুণ হাল বাবদের! রাহুল-কোহলির পার্টনারশিপের চেয়েও ১০৫ রান কম করল পুরো পাক টিম
তার পর আবার ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লাহোরে সুপার ফোরের ম্যাচ ছিল। তাই ২ সেপ্টেম্বর ভারত-পাক ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার পর তারা, ৩ সেপ্টেম্বর পাল্লেকেলে থেকে সড়কপথে যাত্রা করে কলম্বো এসে, সেখান থেকে লাহোরের বিমান ধরে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলার পর আবার ৭ সেপ্টেম্বর তারা লাহোর থেকে কলম্বোতে বিমানে ফিরে আসেন। ভারত-পাকিস্তান সুপার ফোরের ম্যাচ ছিল ১০ সেপ্টেম্বর। তবে বৃষ্টির কারণে ১১ সেপ্টেম্বর রিজার্ভ ডে রাখা ছিল। এই দু'দিন মিলিয়েই ম্যাচটি হয়েছে।
রশিদ লতিফ হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন, এই ভ্রমণের ফলে পাকিস্তান প্লেয়াররা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তার ফলই হয়তো ভারত-পাকিস্তান সুপার ফোরের ম্যাচের উপর পড়েছে। পাকিস্তানের পরবর্তী ম্যাচ রয়েছে ১৪ সেপ্টেম্বর, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে।
এদিকে ভারতের কাছে হারের পরে আরও বড় ধাক্কা খেয়েছে পাকিস্তান। এশিয়া কাপের বাকি ম্যাচে হ্যারিস রউফ এবং নাসিম শাহকে সম্ভবত পাওয়া যাবে না। ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে যে, আগামী বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাকিস্তানের পরবর্তী ম্যাচটি হয়তো মিস করতে পারেন দুই খেলোয়াড়ই। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান যদি ফাইনালে ওঠে, সেক্ষেত্রেও এই দুই প্লেয়ারের খেলা নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে।