শুভব্রত মুখার্জি: সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতীয় সিনিয়র দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কেএল রাহুল। গত আইপিএল চলাকালীন তিনি তাঁর ডান থাইয়ে চোটে পান। ফলে আইপিএলের শেষ ভাগেও খেলা হয়নি তাঁর। পরবর্তীতে তিনি দীর্ঘ দিন দূরে ছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেও। এর পরেই ইংল্যান্ডে যান তিনি। সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচারও হয়। দীর্ঘদিন এনসিএ-তে রিহ্যাবে কাটান তিনি। তার পরেই তাঁকে এশিয়া কাপের দলে নেন বিসিসিআইয়ের নির্বাচকরা।প্রথম দু'টি ম্যাচে না খেললেও সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কামব্যাক ঘটে রাহুলের। অনবদ্য শতরান করে তাঁর কামব্যাককে রাঙিয়ে দেন রাহুল। এশিয়া কাপ ফাইনাল শেষে বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে রাহুল বলেন, কয়েক সপ্তাহ আগেও তিনি চিন্তিত ছিলেন। তবে বেশ কিছু ভালো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে পেরেছেন। যা তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রোটিয়াদের কাছে মুখ পুড়িয়ে ODI Ranking-এ তিনে নামল অজিরা, ফের শীর্ষে উঠল পাকিস্তান
এশিয়া কাপের ফাইনাল শেষে রাহুল বলেছেন, ‘কয়েক সপ্তাহ আগেও আমি নিজেকে নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলাম। তবে বেশ কিছু ভালো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে পেরেছি। যা আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। আমি ব্যাট হাতে রান করেছি। গ্লাভস হাতেও ভালো পারফরম্যান্স করেছি। কয়েকটা লক্ষ্যপূরণ আমি করতে পেরেছি। আশা করব, আগামী কয়েক মাস ধরে আমি এই ভালো ফর্মটাই ধরে রাখতে পারব। আমি বেঙ্গালুরুতে শেষ কয়েক মাস ধরে ধীরে ধীরে খেলা চালাচ্ছিলাম। আমি খুশি যে ২২ গজে আমি বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছি। আমার কাছে এটা খুব ভালো চ্যালেঞ্জ ছিল একটা। বিশ্বকাপে মিডল ওভারে স্পিন বোলিংকে ভালো করে খেলতে পারাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওই চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে রয়েছি। যে ম্যাচে বোলাররা কিছুটা সাহায্য পায়, তেমন ম্যাচে খেলতে পারাটা সত্যিই খুব ভালো। এদিন অনবদ্য ফর্মে ছিল সিরাজ (মহম্মদ)। আমাদের হয়ে সব কাজটাই প্রায় ও করে দিয়েছে। বাকিরা সবাই ওকে সাহায্য করেছে।আমরা সবাই এই জয়টাকে সাদরে গ্রহণ করেছি।’
আরও পড়ুন: বল সুইং করছিল, ব্যাটের সামনে বল ফেলার চেষ্টা করেছি- সাফল্যের রহস্য ফাঁস সিরাজের
এশিয়া কাপের ফাইনালে অবশ্য রাহুল ব্যাট হাতে কোনও ভূমিকা রাখার সুযোগ পাননি। তবে গ্লাভস হাতে উইকেটের পিছনে তিনটি ক্যাচ নিয়েছেন তিনি। এদিন রাহুল ব্যাট হাতে পারফরম্যান্স করার সুযোগ পাননি, কারণ মাত্র ৫০ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা দল। গত বারের চ্যাম্পিয়ন দলের ব্যাটাররা এদিন দাঁড়াতেই পারেননি কার্যত। সিরাজ একাই নেন ছ' উইকেট। হার্দিক পান্ডিয়া নেন তিন উইকেট। জবাবে ইশান কিষান এবং শুভমন গিল ঝোড়ো ইনিংস খেলে মাত্র ৬.১ ওভারেই ভারতের শিরোপা জয় নিশ্চিত করেন।