শুভব্রত মুখার্জি: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটি টি-২০ ম্যাচ শেষ হতে যতটা সময় নেয়, তার থেকেও কম সময়ে শেষ হয়ে গেল এশিয়া কাপের ফাইনাল।এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং শ্রীলঙ্কা দুই দল। গতনবারের চ্যাম্পিয়ন দল ছিল শ্রীলঙ্কা। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ওয়ানডে ক্রিকেটের অন্যতম সেরা দল ভারত। ফলে আরও কঠিন, লড়াকু ম্যাচ হওয়ার আশা করেছিল ক্রিকেট সমর্থকেরা। কিন্তু বাস্তবে ঘটে গেল তার উল্টোটাই।একেবারে একপেশে একটি ফাইনাল ম্যাচের সাক্ষী থাকল সবাই। ভারতের বোলিংয়ের সামনে একেবারেই দাঁড়াতেই পারল না লঙ্কা ব্রিগেড। আর সেই কথাই প্রতিফলিত হল ভারতীয় অলরাউন্ডার শার্দুল ঠাকুরের গলায়। তিনি জানিয়েই দিলেন, ম্যাচ চোখের পলক ফেলার আগেই শেষ হয়ে গেল।
আরও পড়ুন: প্রোটিয়াদের কাছে মুখ পুড়িয়ে ODI Ranking-এ তিনে নামল অজিরা, ফের শীর্ষে উঠল পাকিস্তান
ম্যাচ শেষে শার্দুল বলেন, ‘চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই শেষ হয়ে গেল ম্যাচ। এর থেকে ভালো আর কি হতে পারে! এদিন বুমরাহ (জসপ্রীত) শুরুটা ভালো করে। তার পরে কী ভালোই না বল করল মহম্মদ সিরাজ। অনবদ্য একটা বোলিং স্পেল করল ও। অনবদ্য পারফরম্যান্স করেছে সিরাজ। হার্দিক (পান্ডিয়া) আবার শেষে তিনটে উইকেট নিয়েছে। বোলারদের তরফে এদিন পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। গিল (শুভমন) আর ইশান (কিষান) এদিন রান তাড়াটা বেশ ভালোই করেছে। আমি মনে করি, আজকের ম্যাচে আমাদের যা দল ছিল, যা কম্বিনেশন ছিল, তাই নিয়েই আশা করি আমরা বিশ্বকাপে খেলব। কেএল (রাহুল) পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে অনবদ্য শতরান করেছিল, এই টুর্নামেন্টের অন্যতম হাইলাইটস। কী কামব্যাকটাই না করল কেএল, অনবদ্য। আমি মনে করি, আমাদের দলটা যথেষ্ট ভালো একটা দল। সবাই তাদের স্কিলকে সামনে তুলে ধরতে মুখিয়ে রয়েছে। আমি নিজে যখন খেলার সুযোগ পাব, তখন আমিও দলের জন্য আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’
আরও পড়ুন: বল সুইং করছিল, ব্যাটের সামনে বল ফেলার চেষ্টা করেছি- সাফল্যের রহস্য ফাঁস সিরাজের
এদিন ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং নেয় শ্রীলঙ্কা। তারা কল্পনাও করতে পারেনি যে, মাত্র ৫০ রানে অলআউট হয়ে যাবে। ম্যাচে খাতায় কলমে ভারতীয় দল এগিয়ে থাকলেও, এত সহজে যে ম্যাচ তারা জিতে যাবে, তা আশা করেনি অতি বড় ভারতীয় ক্রিকেটের ভক্তও। কিন্তু বাস্তবে ঘটল সেই অকল্পনীয় ঘটনা। জসপ্রীত বুমরাহ এবং মহম্মদ সিরাজ এদিন প্রথম থেকেই চেপে ধরে শ্রীলঙ্কা ব্যাটিংকে। মহম্মদ সিরাজ একাই নেন ছ'টি উইকেট। জসপ্রীত বুমরাহ একটি এবং হার্দিক পান্ডিয়া নেন তিন উইকেট। ফলে ১৫.২ ওভারেই মাত্র ৫০ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা দল। জবাবে মাত্র ৬.১ ওভারেই বিনা উইকেট হারিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে শিরোপা জিতে যায় ভারত।