বাংলা নিউজ > ক্রিকেট > এশিয়া কাপ > পরপর ৩ বারই Asia Cup-এর গ্রুপ ‘এ’ থেকে সুপার ফোরে পাকা জায়গা ভারত-পাকের, যত বদল গ্রুপ ‘বি’-তে

পরপর ৩ বারই Asia Cup-এর গ্রুপ ‘এ’ থেকে সুপার ফোরে পাকা জায়গা ভারত-পাকের, যত বদল গ্রুপ ‘বি’-তে

ভারত-পাকিস্তান গত তিন বছর ধরেই গ্রুপ-এ থেকে সুপার ফোরে উঠছে।

গ্রুপ-এ- তে আবার ছিল ভারত, পাকিস্তান, নেপাল। নেপাল ছিটকে গিয়েছে। ২০১৮, ২০২২ এবং ২০২৩- তিন বছরই গ্রুপ-এ থেকে সুপার ফোরে উঠেছে ভারত আর পাকিস্তান।

২০১৮ থেকে ২০২৩- এশিয়া কাপের সুপার ফোরে পরপর তিন বারই গ্রুপ-এ থেকে ভারত পাকিস্তান জায়গা করে নিয়েছে। তবে গ্রুপ-বি থেকে তিন বারই বদলেছে টিম। মঙ্গলবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত জয় ছিনিয়ে নিয়ে শ্রীলঙ্কা শেষ পর্যন্ত গ্রুপ-বি থেকে সুপার- ফোরে জায়গা করে নিয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ উঠেছে সুপার ফোরে। ছিটকে গিয়েছে আফগানিস্তান।

২০১৮, ২০২২ এবং ২০২৩-এর গ্রুপ পর্ব থেকে সুপার ফোরে উঠেছিল যথাক্রমে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা এবং শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে, তিন বারের মধ্যে এবারই আফগানরা সুপার ফোরে উঠতে পারল না।

গ্রুপ-এ- তে আবার ছিল ভারত, পাকিস্তান, নেপাল। নেপাল ছিটকে গিয়েছে। ২০১৮, ২০২২ এবং ২০২৩- তিন বছরই গ্রুপ-এ থেকে সুপার ফোরে উঠেছে ভারত আর পাকিস্তান।

মঙ্গলবার রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার কাছে পরাজিত হয়ে চলতি এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে আফগানিস্তান। ম্যাচ হারলেও আফগানিস্তান লাহোরে যে রকম লড়াই চালায়, তা কুর্নিশ আদায় করে নেয় ক্রিকেট বিশ্বের। শ্রীলঙ্কা কার্যত খাদের কিনারা থেকে ফিরে সুপার ফোরের যোগ্যতা অর্জন করে।

আরও পড়ুন: কেএল রাহুলের লড়াইটা ইশানের সঙ্গে নয়, বরং শ্রেয়সের সঙ্গে হওয়া উচিত- ভারতের একাদশ নিয়ে সাফ দাবি গাভাসকরের

লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। কুশল মেন্ডিসের চওড়া ব্যাটে ভর করে তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ২৯১ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। যদিও নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করেন মেন্ডিস। তিনি ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৮৪ বলে ৯২ রান করে দুর্ভাগ্যজনক রান-আউটের শিকার হন। এছাড়া ৪০ বলে ৪১ রান করেন ওপেনার পাথুম নিশঙ্কা। ৩৫ বলে ৩২ রান করে সাজঘরে ফেরেন অপর ওপেনার দিমুথ করুণারত্নে। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে চরিথ আসালঙ্কা ৪৩ বলে ৩৬ রান করেন। ৩৯ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন দুনিথ ওয়েলালাগে। নয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মাহিশ থিকসানা ২৪ বলে ২৮ রানের কার্যকরী যোগদান রাখেন।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের স্কোয়াডের সঙ্গে কেন কোনও রিজার্ভ প্লেয়ারের নাম ঘোষণা করেনি টিম ইন্ডিয়া?

আফগানিস্তানের হয়ে চার উইকেট তুলে নেন গুলবদিন নায়েব। রশিদ খান দুই উইকেট নেন। ১টি উইকেট নেন মুজিব উর রহমান।

নেট রান-রেটের নিরিখে বি-গ্রুপের প্রথম দুইয়ে উঠে আসতে হলে আফগানিস্তানকে ২৯২ রান তুলে ম্যাচ জিততে হতো ৩৭.১ বা তারও কম ওভার খরচ করে। নতুবা জিতেও সুপার ফোরের টিকিট হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল না আফগানদের সামনে।

পাল্টা ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান রীতিমতো ঝড় তোলে। তবে তীরে এসে তরী ডোবে তাদের। একসময় ৩৭ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রান তুলে ফেলেন রশিদরা। সুতরাং, ১ বলে ৩ রান করলেই ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি সুপার ফোরের যোগ্যতা অর্জন করত আফগানিস্তান। তবে তারা ৩৭.৪ ওভারে ২৮৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়। রশিদরা যদি ৩৭.৪ ওভারে ২৯৫ রান সংগ্রহ করতে পারতেন, তাহলেও তাঁরা সুপার ফোরের যোগ্যতা অর্জন করতে পারতেন।

বন্ধ করুন