মাঝে ব্যবধান মাত্র কয়েক ঘন্টার। তারপর শুরু হয়ে যাবে এশিয়া কাপ। বিস্তর টালবাহানার পর এশিয়া কাপের বল গড়াবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাতে। অংশগ্রহণকারী দলগুলির প্রস্তুতি প্রায় সারা। কোনও দলই এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ। প্রথম ম্যাচ খেলা হবে পাকিস্তান এবং নেপালের মধ্যে। অন্যদিকে ভারত পাকিস্তান ম্যাচ হবে ২ সেপ্টেম্বর। যা নিয়ে এখন থেকেই উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে দুই দেশের ক্রিকেটার এবং সমর্থকদের মধ্যে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বছর এশিয়া কাপ জেতার অন্যতম দাবিদার এই দুই চির-প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ। তবে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকর অন্য কথা শুনিয়েছেন। তিনি মনে করছেন সকলে ভারত পাকিস্তানের জেতার কথা বলছে কিন্তু শ্রীলঙ্কা গত বছর এশিয়া কাপ জিতে দেখিয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলে না। রাজনৈতিক কারণে দুই দেশের মধ্যে খেলা বন্ধ। তবে আইসিসি টুর্নামেন্টগুলি তারা খেলে। এর সঙ্গে সঙ্গেই এই দুই দলের লড়াই দেখতে অপেক্ষায় থাকে বিশ্ব ক্রিকেট। এই বছর এশিয়া কাপ পাকিস্তানে হওয়ার কথা থাকায় প্রথমে খেলতে যেতে চায়নি ভারত। তারপরে রোহিত শর্মাদের ম্যাচ শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলা হলে রাজি হয় ভারতীয় বোর্ড। প্রসঙ্গত, এইবার এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের খেলা হবে। বিশ্বকাপের বছরে ভারত পাকিস্তানকে নিয়ে সবার মধ্যে প্রবল উত্তেজনা কাজ করছে। এই টুর্নামেন্টে যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে তারা তিনবার মুখোমুখি হবে। তবে সেটা ফাইনালে উঠতে পারলে। তবে এখন থেকেই সবাই ভাবতে শুরু করেছে ফাইনাল ম্যাচ খেলবে এই দুই প্রতিবেশী দেশ। বিশেষজ্ঞরাও এই ইঙ্গিতই দিচ্ছেন।
তবে ভারতীয় কিংবদন্তি প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর অন্য কথা বলছেন। তাঁর মতে সবাই ভারত পাকিস্তান ফাইনাল নিয়ে এখন থেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু গতবার শ্রীলঙ্কা কাপ জিতে দেখিয়েছে তাই তাদেরকে ভুলে গেলে হবে না। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বলেন, 'শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপ জিতে দেখিয়েছে। গত বছর আমরা সবাই যখন পাকিস্তান ও ভারতের ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করেছিলাম সেই সময় শ্রীলঙ্কা নিজের হাতে কাপ তোলে। এমনকি ভারত ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়। আমাদের শ্রীলঙ্কাকে ভুলে গেলে চলবে না।'
এই বছরের এশিয়া কাপ প্রতিটি দলের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই টুর্নামেন্ট শেষ হলেই ভারতে বসবে ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর। অন্যদিকে ভারতের ঘরের দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আইসিসির কোনও ট্রফি নেই। সেই জায়গায় নিজের ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবে না রোহিত শর্মারা। সেই দিক থেকে এশিয়া কাপে ভালো পারফরমেন্স করে প্রস্তুতি সেরে রাখবে সবাই।