দীর্ঘদিন ধরে চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন মহম্মদ শামি। সদ্য বল হাতে ফিরেছেন তিনি। তবে এখনও জাতীয় দলের হয়ে ডাক আসেনি তাঁর। ভারতের জার্সি আবার গায়ে চাপাতে মরিয়া শামি নিজেও। চাইছেন দ্রুত মেন ইন ব্লুয়ের হয়ে কামব্যাক করতে। সেই লক্ষ্যে বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলি খেলছেন তিনি। রঞ্জি ট্রফির ম্যাচেও বল হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন শামি। চলতি মুস্তাক আলি ট্রফিতেও ভালো বল করছেন এই তারকা পেসার। মঙ্গলবার বিহারের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল বাংলার। সেখানে ৪ ওভার বল করে ১৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়া সফরের পরের টেস্টগুলিতে খেলতে দেখা যেতে পারে তাঁকে।
তবে লড়াইটা এত সোজা হবে না, সেটা হয়তো নিজেও ভালো করে জানেন মহম্মদ শামি। সেই কারণে মঙ্গলবার ম্যাচ শেষে নেটে ১ ঘণ্টা টানা বল করতে দেখা গেল তাঁকে। জানা যাচ্ছে, ম্যাচের শেষে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে বিশেষ অনুশীলন করেন শামি। বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিং এবং ব্যাটিং করেন তিনি। শেষ ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের হয়ে খেলেছিলেন শামি। অস্ত্রোপচারও হয়েছিল তাঁর। তারপর কামব্যাক করার মুহূর্তে আবার সেই অস্ত্রোপচারের কারণে ফুলে গিয়েছিল হাঁটু। যেই কারণে আরও বেশ কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হয় তাঁকে। দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকার জন্য ওজন বেড়ে গিয়েছে শামির। ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির তরফে তাঁকে ওজন কমাতে বলা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই বিশেষ ডায়েট শুরু করেছেন তিনি। বাদ দিয়েছেন লাঞ্চ। এবার আরও দ্রুত ওজন কমাতে জোর দিচ্ছেন বাড়তি অনুশীলনেও।
আপাতত বাংলার হয়ে আরও বেশ কিছু ম্যাচ খেলবেন শামি। মুস্তাক আলি ট্রফির নক আউট পর্বে যদি বাংলা পৌঁছয় তখন খেলতে দেখা যাবে তাঁকে। পাশাপাশি বিজয় হাজারে ট্রফির শুরুর কয়েকটি ম্যাচও খেলবেন তিনি। ফিটনেসের ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করতে নারাজ শামি। কারণ সেক্ষেত্রে আবার চোট লাগার সম্ভাবনা থেকে যাবে। আপাতত নিজেকে সম্পূর্ণ ফিট করে তোলাই লক্ষ্য। জাতীয় দলের হয়ে খেলার বিষয়টা তাঁর উপরই ছেড়েছে ম্যানেজমেন্ট। টেস্ট ক্রিকেটে ক্রিকেটারদের অনেক বেশি ধকল নিতে হয়। তাই জন্য কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ তারা। যবে শামি তাদের জানাবে যে তিনি খেলার জন্য প্রস্তুত তখন বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। তারপর মেডিক্যাল হবে। সব ঠিক থাকলে সুযোগ পাবেন দলে। মনে করা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ দু’টি টেস্টে দলে দেখা যেতে পারে শামিকে।