টুর্নামেন্টের সেরা ক্যাচ বললে মোটেও ভুল বলা হয় না। বরোদার বিরুদ্ধে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির সেমিফাইনালে অভিমন্যুসিং রাজপুতের যে ক্যাচটি ধরেন অথর্ব আঙ্কোলেকর, তাকে এককথায় অবিশ্বাস্য বলা যায়।
এমনিতেই বল গগনে উঠলে উঁচু ক্যাচ ধরার ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়তে হয় ফিল্ডারদের। তার উপর পিছন দিকে দৌড়ে ক্যাচ ধরা নিতান্ত কঠিন। শুক্রবার চিন্নাস্বামীতে এমন কঠিন কাজই করে দেখান অথর্ব।
শুক্রবার চিন্নাস্বামীতে মুস্তাক আলির সেমিফাইনালে সম্মুখসমরে নামে ক্রুণাল পান্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন বরোদা ও শ্রেয়স আইয়ারের মুম্বই। টস জেতেন মুম্বই দলনায়ক শ্রেয়স। তিনি শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান বরোদাকে। যথারীতি বরোদার হয়ে ওপেন করতে নামেন শাশ্বত রাওয়াত ও অভিমন্যুসিং রাজপুত।
প্রথম ২ ওভারে বরোদা কোনও উইকেট না হারিয়ে ১৮ রান সংগ্রহ করে নেয়। সুতরাং, তাদের শুরুটা মোটেও মন্দ হয়নি। যদিও তৃতীয় ওভারেই ওপেনিং জুটি ভাঙে বরোদার। ২.৫ ওভারে মোহিত আবস্তির বলে অথর্ব আঙ্কোলেকরের হাতে ধরা পড়েন অভিমন্যুসিং রাজপুত। এক্ষেত্রে বোলার মোহিতের থেকেও বেশি কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন ফিল্ডার আঙ্কোলেকর।
মোহিতের বলে লেগ সাইডে বড় শট নেওয়ার চেষ্টা করেন অভিমন্যুসিং। তবে বল অনেকটা উঁচুতে উঠে যায়। ডিপ মিড-উইকেটে পিছন দিকে অনেকটা দৌড়ে শরীর ছুঁড়ে দেন আঙ্কোলেকর। একবার তাঁর হাতের বাইরে বেরিয়ে যায় বল। দ্বিতীয় দফায় ফের বল তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন তিনি। তবে মাটিতে শরীর আছড়ে পড়লেও তৃতীয় প্রচেষ্টায় বল শরীরের সঙ্গে আঁকড়ে ধরেন অথর্ব। ফলে ব্যক্তিগত ৯ রানের মাথায় আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় অভিমন্যুসিংকে। ১০ বলের ইনিংসে তিনি ১টি চার মারেন।
দেড়শো টপকে থামে বরোদা
বরোদা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে। ক্যাপ্টেন ক্রুণাল পান্ডিয়া রান পেলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন টিম ইন্ডিয়ার তারকা অল-রাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। ক্রুণাল ২৪ বলে ৩০ রান করেন। তিনি ৪টি চার মারেন। হার্দিক ৬ বলে ৫ রান করে আউট হন। তিনি ১টি চার মারেন।
২৪ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন শিবালিক শর্মা। তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ১৪ বলে ২২ রান করেন অতীত শেঠ। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ২৯ বলে ৩৩ রান করেন শাশ্বত রাজপুত। তিনি ৪টি চার মারেন।