প্রতিপক্ষকে ২০২ রানের লক্ষ্য দিয়ে ২ উইকেট যে কোনও বোলারই নিতে পারেন। তবে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরার পুরস্কার পাওয়া, এমন ঘটনা একটু অবাক করার মতোই। কিন্তু শনিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচে এমনই ঘটনা ঘটেছে। ৪ ওভার বল করে ২৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা। এমন কী তাঁর চেয়ে কম রান দেওয়া প্যাট কামিন্সও সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পাননি। কামিন্স আবার ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। তার পরেও জাম্পা হন ম্যাচের সেরা।
আসলে জাম্পার ২ উইকেট এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে, অস্ট্রেলিয়াকে ৩৬ রানে জয় পেতে তা সাহায্য করেছে। আসলে জাম্পা ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার ফিল সল্ট এবং জস বাটলারকে আউট করেন। এই দু'জন ক্রিজে টিকলে, ইংল্যান্ড ম্যাচটি জিতে যেতে পারত। ৭ ওভারের মধ্যে প্রথম উইকেটে তারা ৭৩ রান করেও ফেলেছিল। ফিল সল্ট ৩৭ করে (২৩ বলে) বোল্ড হন। বাটলার ২৮ বলে ৪২ করেন। এই দুই উইকেট নিয়েই জাম্পা ম্যাচের রং বদলে দিয়েছিলেন। ইংল্যান্ডের বাকিরা কেউ ক্রিজে সেভাবে টিকতেই পারেননি।
আরও পড়ুন: বিরাটের জুতোর সমানও নয়… বাবরের সঙ্গে কোহলির তুলনা টানা নিয়ে সরব পাক প্রাক্তনী
যাইহোক অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা দাবি করেছেন যে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ২০২৪ আইপিএল থেকে সরে দাঁড়ানোটাই ছিল তাঁর নেওয়া সেরা সিদ্ধান্ত। এই পদক্ষেপটি তাঁকে তাঁর প্রস্তুতির দিকে মনোনিবেশ করতে, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে এবং কিছু অযাচিত চোট সারাতে সাহায্য করেছে।
ম্যাচের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে জাম্পা দাবি করেন, ‘আমি আইপিএল থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবং তখন থেকেই আমার লক্ষ্য ছিল, এই বিশ্বকাপে সেরাটা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হওয়া। আমি ক্লান্ত ছিলাম। আমার কিছু চোটও ছিল। এবং আমি একজন পারিবারিক মানুষ, তাই মাঝে মাঝে পরিবারের পাশে থাকাটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।’
আরও পড়ুন: কোহলি, রোহিতদের সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দেবেন বাবর, শাহিনরা- ভারত-পাক ম্যাচে কারা হতে পারেন ফ্যাক্টর?
আইপিএল না খেলে জাম্পা ওই সময়ে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন বলেই জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি আসলে একটু ধীরগতিতে শুরু করেছি, তাই আমাকে বাড়তি কাজ করতে হয়েছে। আমার শরীর ভালো আছে বলেই অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে পেরেছি। সাধারণত এই ধরনের কোনও টুর্নামেন্টের আগে যা করি, তার চেয়ে একটু বেশিই পরিশ্রম করেছি এবং খেলেছি। সঙ্গে অনুশীলন গেমস আছে। তবে এতে এখন ফুরফুরে লাগছে।’
আরও পড়ুন: রেকর্ড গড়ে দু'শোর উপর স্কোর অজিদের, ওয়ার্নাদের কাছে ৩৬ রানে হেরে চাপে পড়ল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা
জাম্পার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নের সঙ্গে তাঁর তুলনা টানা হয়ে থাকে। বিশেষ করে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা জয়ে এবং গত বছর ওডিআই বিশ্বকাপের সময় তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদানের পর থেকে। তবে জাম্পা এই ধরনের তুলনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন। বরং তিনি বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি এসব নিয়ে কখনও-ই ভাবি না। আমাকে দলে নিজের জায়গা তৈরি করার জন্য দীর্ঘ সময় লড়াই করতে হয়েছে। এবং তার পরে আমি ভাগ্যবান ছিলাম যে, আমার অধিনায়ক আমাকে সমর্থন করেছিল এবং (অ্যারন) ফিঞ্চ সত্যিই আমার পাশে ছিল। (প্যাট) কামিন্স এবং (মিচেল) মার্শের ক্ষেত্রেও একই কথা বলব।’