রেকর্ড গড়ে দু'শোর উপর রান করে শুরুতেই ইংল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এর পর প্যাট কামিন্স, অ্যাডাম জাম্পারা বল হাতে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের ১৬৫ রানেই আটকে দেয়। যার নিটফল, ৩৬ রানে জয় ছিনিয়ে নিয়ে সুপার এইটের পথে পা বাড়িয়ে রাখল অজিরা।
চলতি টি২০ বিশ্বকাপে প্রায় সব ম্যাচেই বোলারদের দাপটই দেখা যাচ্ছে। কিন্তু শনিবার ব্রিজটাউনে দেখা গেল অন্য ছবি। এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০১ রান করে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। এটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার করা সর্বোচ্চ রান। রেকর্ড রান করে অজিরা প্রথম ইনিংসেই ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলে দিয়েছিল। মজার বিষয় হল, অস্ট্রেলিয়া এদিন দু'শোর গণ্ডি পার করলেও, তাদের কোনও ক্রিকেটার কিন্তু ৪০ রানের গণ্ডিও টপকাননি। অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান (১৬ বলে) করেছেন দলের ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। তিনি ঝড় তুলে ৩৯ করে আউট হয়ে যান। আর এক ওপেনার ট্র্যাভিস হেড ১৮ বলে ৩৪ করেন।
আসলে বার্বাডোজের মাঠ বেশ ছোট। এক দিকের বাউন্ডারি ৭৪ মিটারের। অন্য দিকের বাউন্ডারি ৫৮ মিটারের। ছোট বাউন্ডারি কাজে লাগিয়ে বড় শট খেলেছেন দুই অজি ওপেনার। পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে প্রথম পাঁচ ওভারে ৭০ রান করে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। দুই ওপেনার আউট হলেও, অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি কমেনি। এর পর দলের অধিনায়ক মিচেল মার্শ করেন ২৫ বলে ৩৫ রান। ২৫ বলে ২৮ করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ১৭ বলে ৩০ করেন মার্কাস স্টইনিস। টিম ডেভিড ১১ করেন (৮ বল)। ১০ বলে ১৭ করে অপরাজিত থাকেন ম্য়াথু ওয়েড। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে অস্ট্রেলিয়া। চলতি বিশ্বকাপে এই প্রথম কোনও দল ২০০ রানের গণ্ডি টপকাল। ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রিস জর্ডন ৪৪ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন।
২০২ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খারাপ করেনি ইংল্যান্ড। দুই ওপেনার ফিল সল্ট এবং জস বাটলার মিলে প্রথম উইকেটে ৭ ওভারে ৭৩ রান করে ফেলেছিলেন। ২৩ বলে ৩৭ করে সাজঘরে ফেরেন সল্ট। বাটলারও এর পরপরই আউট হয়ে যান। তিনি করেন ২৮ বলে ৪২ রান। দুই ওপেনার সাজঘরে ফিরতেই যেন তাল কেটে যায় ইংল্যান্ডের। এর পর কেউ দায়িত্ব নিয়ে দলকে জয়ের লক্ষ্যে নিয়ে যেতে পারেননি। ১০ বলে ১০ করে সাজঘরে ফেরেন উইল জ্যাকস। জনি বেয়ারস্টোও নিরাশ করেন। ১৩ বলে ৭ করে আউট হন। মইন আলি ১৫ বলে ২৫ করেন। হ্যারি ব্রুক করেন ১৬ বলে অপরাজিত ২০ রান। ১২ বলে ১৫ করেন লিয়াম লিভিংস্টোন। শেষ পর্যন্ত নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৫ রান করে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দু'টি করে উইকেট নিয়েছেন প্যাট কামিন্স এবং অ্যাডাম জাম্পা।
আরও পড়ুন: এত চাপ থাকে, সেক্স তো… চাঞ্চল্যকর দাবি KKR-এর সহকারী কোচের
এদিনের ম্যাচ হারায় মারাত্মক চাপে পড়ে গেল ইংল্যান্ড। একেই স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় ১ পয়েন্ট পেয়েছিল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও পয়েন্ট হারাল। ফলে দু'ম্যাচ শেষে ১ পয়েন্ট নিয়ে আশঙ্কার প্রহর গোনা শুরু ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের।