ভারতীয় দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড টেস্ট প্রথম দিন থেকেই উত্তপ্ত ছিল সিরাজের কারণে। প্রথম দিনে মার্নাস ল্যাবুশান যখন খেলা থামাতে গেছিলেন, এক দর্শক অসুবিধা তৈরি করায় সাইড স্ক্রিনের কাছে, তখন সিরাজ রেগে গিয়ে উইকেটে বল ছুঁড়েছিলেন। এরপরই থেমে থাকেননি এই ভারতীয় পেসার। জড়ান আরও বড় বিতর্কে।
আরও পড়ুন -BPL-এ খেলতে এসে টাকা মেরে দিয়েছে রংপুর রাইডার্স! ভরা মাঠে অভিযোগ ইমরান তাহিরের…
এরপর দ্বিতীয় দিনে ট্র্যাভিস হেডকে যখন ভারতীয় বোলাররা আউট করতে নাজেহাল অবস্থা হয়ে গেছে, তখনই ১৪০ রানের মাথায় হেডকে বোল্ড আউট করে ফেরান সিরাজ। এরপরই তাঁকে কিছু একটা বলে সেন্ড অফ দেন সিরাজ। মানে স্পষ্ট বাংলায় বললে, হাত দেখিয়ে বিদায় জানান সিরাজ। এরপর পাল্টা হেডও কিছু বলেন সিরাজ, বিতর্ক বেড়ে ওঠে।
আরও পড়ুন-Video -উল্টো হাতে স্কট বোল্যান্ডকে ছয়! নীতীশের রিভার্সে সুইপে তাক লাগল অ্যাডিলেডে…
যদিও অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বিষয়টিকে স্পোর্টিংলি নিচ্ছেন। বলছেন তাঁর দলের ক্রিকেটাররা যথেষ্ট বড়, তাই মাঠে কখন কি করতে হয় তাঁরা জানে। ফলে তাঁদের কিছুই শেখাতেও হবে না, আর অধিনায়ককেও ঝগড়া থামাতে আসরে নামতে হবে না। তবে সিরাজকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি কামিন্স।
আরও পড়ুন- অ্যাডিলেডে রেকর্ড! ভারতের অসি যুদ্ধ দেখতে মাঠে হাজির ৫০ হাজারের বেশি সমর্থক...
ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে প্যাট কামিন্স সিরাজ আর হেডের বিতর্কের প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। তাঁকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করায় কামিন্স বলেন, ‘ট্র্যাভিস হেড আমাদের দলের ভাইস ক্যাপটেন, ও যথেষ্ট বড়। তাই ওকে নিজেই কথা বলতে পারে। সাধারণ ছেলেদের নিজের মতোই ছেড়ে দিতে হয়। যদি দরকার পড়ে তখন অধিনায়ক হিসেবে মধ্যস্থতা করতে হয়, তবে এমন ক্রিকেটারদের নিয়ে কখনই আমায় সেটা করতে হয়নি ’।
কামিন্স আরও বলছেন, ‘এই সিরিজটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, আর বড় সিরিজ। আম্পায়াররাও দ্রুত আসরে নেমেছিল, তাই ওখানে সব শেষ হয়ে গেছে। সত্যি কথা বলতে কি, বাকিরা যা ইচ্ছা করতে পারে। তবে আমি চিন্তায় ছিলাম আমার ছেলেদের নিয়ে। ওদের ব্যবহার ভালোই ছিল, এটাই ভালো দিক। ট্র্যাভিসের কালকে খেলতে নামাটাই টার্নিং পয়েন্ট ছিল, ও ভারতের হাত থেকে ম্যাচ বের করে দেয়। বারবারই ও দেখিয়েছে, ও প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করে। ছোট সুযোগ থেকেও অনেক বড় করে কাজে লাগায় ’।