মালয়েশিয়ায় অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে হারতে হল বাংলাদেশকে। সোমবার টাইগারদের বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত ২ উইকেটে জয় পেল অজিরা। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে মাত্র ৯১ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এতো কম রান হাতে নিয়েও যে এমন লড়াই দেবে তারা সেটা কেউ ভাবতেও পারেনি। অসাধারণ বোলিং করে বাংলাদেশের বোলাররা। শুরুটা ভালো ভাবে করলেও মাঝে দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। একটা সময় মনে হচ্ছিল ম্যাচ বাংলাদেশ জিতে যাবে, কিন্তু শেষ মুহূর্তে কোনওক্রমে ম্যাচ বার করতে সক্ষম হয় অস্ট্রেলিয়া। এদিনের ম্যাচে জয়ের ফলে গ্রুপ ডি-এর শীর্ষস্থান ধরে রাখল অজিরা। ২ ম্যাচের ২টিতে জয় পেয়েছে তারা।
কেমন ছিল বাংলাদেশের ইনিংস?
টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ব্যাট করতে নেমে ১৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করেন আফিয়া আশিমা। ৭ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে তিনি ৩৪ বলে ২৯ রান করেন। মাত্র ২ জন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান ডবল ডিজিট রান করতে সক্ষম হন। আফিয়া বাদে এদিন ১৩ রান করেন সুমায়া আখতার। বল হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেন অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যেক বোলার। ২টি করে উইকেট নেন কাওইমে ব্রে, এলেনর লারোসা এবং টেগান উইলিয়ামসন। ১টি করে উইকেট নেন ক্লো আইন্সওয়ার্থ এবং হাসরাত গিল।
কেমন ছিল অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস?
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম উইকেট তাড়াতাড়ি পড়লেও অধিনায়ক লুসি হ্যামিল্টন ৩ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ভালো ব্যাটিং করেন। ৩৫ বলে ৩০ রান করেন তিনি। সেই সময় ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার হাতেই মনে হচ্ছিল। স্কোর ছিল ২ উইকেট হারিয়ে ৫১ রান। এরপরেই দ্রুত উইকেট হারাতে শুরু করে অজিরা। মাত্র ৩৫ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। তবে শেষ পর্যন্ত কোনও ভাবে জয় পায় তারা। বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বড় অবদানটি রাখেন জান্নাতুল্লা মাওয়া, ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। ডি গ্রুপে বাংলাদেশের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ বুধবার স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচে নেপালকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার পরের ম্যাচটি রয়েছে ওইদিনই। সেদিন তারা মুখোমুখি হবে নেপালের।