শুধু আইসিসি ব়্যাঙ্কিং অনুযায়ীই নন, এই মুহর্তে সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমী থেকে বিশেষজ্ঞ, সকলের বিচারেই বিশ্বের সেরা বোলারের স্বীকৃতি আদায় করে নিচ্ছেন জসপ্রীত বুমরাহ। চলতি বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতেও নিজেকে সুনাম অনুযায়ী মেলে ধরছেন বুমরাহ। তিনি সিরিজের প্রথম ২টি টেস্টে মাঠে নেমে দু'দলের মধ্যে সর্বাধিক ১২টি উইকেট নিয়েছেন।
পার্থ টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট নিয়ে ভারতকে জয় এনে দেন বুমরাহ। অ্যাডিলেড টেস্টে ভারত হারলেও মন্দ বল করেননি জসপ্রীত। এবার ব্রিসবেন টেস্টে জয়ে ফিরতে ভারত তাকিয়ে সেই বুমরাহর দিকেই।
ব্রিসবেন টেস্টের আগে ভারতের তারকা পেসার দরাজ সার্টিফিকেট আদায় করে নিলেন শত্রুশিবির থেকে। প্রাক্তন অজি তারকা গ্রেগ চ্যাপেল ভূয়সী প্রশংসা করেন টিম ইন্ডিয়ার তারকা পেসারের। তিনি বুমরাহকে বহুমুখী প্রতিভা হিসেবে বর্ণনা করেন, যাঁর মধ্যে অতীতের একাধিক কিংবদন্তির গুণ বর্তমান বলে মনে হয়েছে চ্যাপেলের।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে নিজের কলামে চ্যাপেল লেখেন, ‘আমি সব সময় বলি যে, আমি যাদের মোকাবিলা করেছি, তাদের মধ্যে সব থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ পেসার হল ডেনিল লিলি ও অ্যান্ডি রবার্টস। ব্যতিক্রমী বোলিং অ্যাকশন ও দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রণের দিকে তাকালে এই দুই কিংবদন্তি এবং আরও সব আধুনিক পেসারদের পাশে বুমরাহকে কীভাবে দেখা হবে?'
চ্যাপেল পরক্ষণেই লেখেন, ‘লিলির মতো ব্যাটারদের বিব্রত করার ক্ষমতা রয়েছে বুমরাহর। লিলির মতোই ব্যাটারদের সেটেল হতে দেয় না ও। ওর বিষাক্ত ইয়র্কার ও অস্বস্তিতে ফেলা বাউন্স সর্বোপরি ওর অপ্রথাগত রিলিজ পয়েন্ট লিলির ক্ষমতার কথা মনে করিয়ে দেয়। বুমরাহর নিয়ন্ত্রিত আগ্রাসন ও নিখুঁত বোলিংয়ের ক্ষমতাই ওকে ব্যাটারদের দুঃস্বপ্নে পরিণত করেছে।’
চ্যাপেল আরও লেখেন, ‘রবার্টসের মতোই অহেতুক শক্তি প্রয়োগ নয়, বরং কৌশলগত দক্ষতায় ব্যাটসম্যানকে বিব্রত করে বুমরাহ। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বক্সিং ডে টেস্টে বুমরাহর ৩৩ রানে ৬ উইকেটের স্পেল রবার্টের ম্যাচের মোড় বদলে দেওয়া বোলিংয়ের আধুনিক প্রতিচ্ছবি ছিল।’
সচরাচর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ খেলা হলে অজি প্রাক্তনদের ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিশেষ প্রশংসা করতে দেখা যায় না। এক্ষেত্রে গ্রেগ চ্যাপেল উল্টো পথে হাঁটলেন বলা যায়। পুরনো বলে রিভার্স সুইং ও ইয়র্কারের ক্ষেত্রে জসপ্রীত বুমরাহকে দুই পাক কিংবদন্তি ওয়াসিম আক্রম ও ওয়াকার ইউনিসের সঙ্গেও তুলনা করেন প্রাক্তন অজি তারকা।