ক্রিকেট খেলতে ভালোবাসতেন খুব। কিন্তু সেই খেলাই যে প্রাণ কেড়ে নেবে ভাবতে পারেননি অজি ক্রিকেটার ফিলিপ হিউজ। ১০ বছর আগের আজকের দিনেই ক্রিকেট মাঠ সাক্ষী থেকেছিল এক মর্মান্তিক পরিণতির। শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে ব্যাট করার সময় মাথার পেছনে বলের আঘাত পেয়েছিলেন অজি ক্রিকেটার ফিলিপ হিউজ। এরপর ২ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর মৃত্যু হয় তাঁর। মস্তিকের ভেতরের শিরা ছিড়ে যাওয়ায় রক্তক্ষরণ হচ্ছিল হিউজের। দ্রুত তাঁর জীবন বাঁচানোর জন্য অস্ত্রোপচারও করা হয়েছিল, তবে সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়। ফিলিপের দশম প্রয়াণ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে নানা পরিকল্পনা নিয়েছে তাঁর পরিবার। তাঁর সম্পর্কে বলতে গিয়ে তাঁকে ‘আমাদের জীবন জ্যোতি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ফিলিপের পরিবার।
ফিলিপ হিউজকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং তাঁর পরিবার যৌথভাবে একটি ডকুমেন্টরি বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেটি আসন্ন বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির অ্যাডিলেড টেস্টে ম্যাচ শুরুর আগে দেখানো হবে। ডকুমেন্টরির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘দ্য বয় ফ্রম ম্যাকসভিল।’ অন্যদিকে শেফিল্ড শিল্ডের দলগুলি শনিবার থেকে শুরু হওয়া ম্যাচে হাতে কালো ব্যান্ড পরে খেলতে নেমেছে।
ফিলিপের পরিবারের তরফে এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘আজকে আমাদের মূল্যবান ছেলে এবং ভাই ফিলিপ জোল হিউজের মৃত্যুর ১০ বছর পূর্ণ হল। তিনি সর্বদা তাঁর চারপাশের লোকদের হাসাতে ভালোবাসতেন এবং জীবনের ছোট ছোট জিনিসগুলি উপভোগ করার লক্ষ্য রাখতেন। তিনি জীবনের কঠিন সময়েও উজ্জ্বল ছিলেন, যা একজন ব্যক্তি হিসেবে তিনি কে ছিলেন তাঁর প্রমাণ। আমরা তাঁর সম্পর্কে সবকিছুই পছন্দ করতাম। তিনি ছিলেন আমাদের জীবনের জ্যোতি। ফিলিপের নিজের পরিবারের প্রতি গভীর ভালোবাসা ছিল এবং তিনি তাঁর চারপাশের সকলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ফিলিপ, ছোট-শহর থেকে উঠে এসেছিলেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ান টেস্ট, ওয়ান-ডে এবং ২০-২০ ক্রিকেটার হয়ে ওঠেন, যেখানে তিনি বিশ্ব মঞ্চে সবচেয়ে কঠিন ক্রিকেটারদের পাশাপাশি বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন পিচে খেলেছিলেন, কিন্তু তিনি কোথা থেকে এসেছিলেন তা কখনই ভুলে যাননি।’ উল্লেখ্য, ফিলিপ হিউজ ৩০ নভেম্বর ১৯৮৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকসভিলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ২০০৯ সালে তাঁর প্রথম অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল। তিনি মোট ২৬টি টেস্ট খেলেছিলেন। রান করেছিলেন ১৫৩৫। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৫টি ওডিআই ম্যাচও খেলেছিলেন হিউজ।