শুভব্রত মুখার্জি: ক্রিকেটের তিন ফর্ম্যাটের ইতিহাসেই অন্যতম শক্তিশালী দল অস্ট্রেলিয়া। অন্যতম সফলতম দলও তারা। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসি আয়োজিত সমস্ত ট্রফিই রয়েছে তাদের ক্যাবিনেটে। গত ওডিআই বিশ্বকাপের ট্রফিও জিতেছেন তারা। চলতি টি২০ বিশ্বকাপে অনেক আগেই তারা সুপার এইট পর্যায়ে যাওয়া নিশ্চিত করে ফেলেছিল। তাদের শেষ ম্যাচ ছিল স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সেন্ট লুসিয়ার গ্রস আইলেটে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। এই ম্যাচে জিততেই হত স্কটল্যান্ডকে পরের রাউন্ডে যেতে গেলে। আর সেই ম্যাচেই এক লজ্জার নজির গড়ে ফেলল অস্ট্রেলিয়া দল।
আরও পড়ুন: প্রথমে স্মৃতির দাপট, পরে দীপ্তি-শোভনার আগুনে বোলিং, প্রোটিয়াদের ১৪৩ রানে উড়িয়ে দিল ভারত
টি২০ বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই লজ্জার নেই আর কোনও দলের। টি২০ বিশ্বকাপের এক ম্যাচে সব থেকে বেশি ক্যাচ ফেলার লজ্জার নজির গড়ে ফেলল অস্ট্রেলিয়া দল। সাধারণত অস্ট্রেলিয়া দল ফিল্ডিংয়ে বেশ শক্তিশালী দল হিসেবেই পরিচিত। রান বাঁচানো থেকে, ক্যাচ ধরা- সবেতেই অজিদের পারদর্শীতা কারও অজানা নয়। সেই অজিরাই নাকি স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে একটি, দুটি নয় ফেলল ছয়, ছয়টি ক্যাচ! আর এই ঘটনা ঘটিয়ে টি২০ বিশ্বকাপের ইতিহাসে লজ্জার নজির গড়ে ফেলেছে তারা। তবে ক্যাচ ফেললেও, এদিন ম্যাচ জিতে গিয়েছে মিচেল মার্শ বাহিনী।
আরও পড়ুন: দেশের মাটিতে প্রথম শতরান স্মৃতির, ছুঁঁলেন মিতালির ৭ হাজারের নজির, ভাঙলেন একাধিক রেকর্ডও
এদিন ম্যাচ জিতলেও, সহজে জয় পায়নি অজিরা। তাদেরকে ম্যাচে বেশ বেগ দিয়েছে স্কটিশরা। তবে অভিজ্ঞতার অভাবে শেষ পর্যন্ত জয়টা তারা ছিনিয়ে নিতে পারেনি। এদিন অজিরা হেরে গেলে, গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যেত গত বারের চ্যাম্পিয়ন দল ইংল্যান্ড। তবে সেই ঘটনা আর ঘটেনি। এদিন ট্রেভিস হেড, মার্কাস স্টইনিস এবং টিম ডেভিডের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে ম্যাচে পিছিয়ে থেকেও, বাজিমাত করে অস্ট্রেলিয়া দল। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে স্কটল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে তারা পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান করতে সমর্থ হয়। জর্জ মান্সি ৩৫, ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেন ৬২ এবং রিচি বেরিংটন ৪২ রান করেন স্কটদের হয়ে। রান তাড়া করতে নেমে অজিরা একটা সময়ে ব্যাকফুটে পড়ে গিয়েছিল। তবে হেড ৬৮ রান করে ইনিংসকে স্থিরতা দেন। সেই ভিতের উপর দাঁড়িয়ে মার্কাস স্টইনিস মাত্র ২৯ বলে ৫৯ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলে দলের জয়ের পথ মসৃণ করেন। ১৪ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত থেকে টিম ডেভিড অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত করেন।