ক্রিকেটের মাঠে চোট নিয়ে খেলা চালিয়ে যওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। একদা ভাঙা চোয়াল নিয়ে বল করতে দেখা গিয়েছে অনিল কুম্বলেকে। ভাঙা হাত নিয়ে ব্যাট করতে দেখা গিয়েছে ম্যালকম মার্শালকে। চোট নিয়ে এক হাতে ব্যাট করেছেন গ্রেম স্মিথ, তামিম ইকবালরাও। এমনকি হনুমা বিহারীকে চোট নিয়ে বাঁ-হাতে ব্যাট করতে দেখা গিয়েছে সাম্প্রতিক অতীতে। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাস্টন এগর।
অজি তারকা শেফিল্ড শিল্ডে চোট নিয়ে কার্যত এক হাতে ব্যাট করেন। যদিও ম্যাচ বাঁচানো সম্ভব হয়নি তাঁর পক্ষে। ক্রিজে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি অ্যাস্টন। এমনকি চোট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে খাতাও খুলতে পারেননি তিনি। তবে এগরের সাহসী লড়াই এক্ষেত্রে প্রশংসা কুড়িয়ে নেয় ক্রিকেটমহলের।
মেলবোর্নে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচ ছিল ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ও ভিক্টোরিয়ার মধ্যে। কাঁধে চোট পাওয়ায় ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে অ্যাস্টনের ব্যাট করতে নামাই সংশয়ে ছিল। তিনি শেষমেশ ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন। এগর প্রথম ইনিংসে ৭ নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে মোটে ৫ বল স্থায়ী হয় এগরের ইনিংস। চোট নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছেন বলে এগরের প্রতি মায়াদয়া দেখাননি ভিক্টোরিয়ার বোলাররা। কেননা এগরকে শুরুতেই বাউন্সার দেওয়া হয়, যা সতর্কতার সঙ্গে এড়িয়ে যান অ্যাস্টন। পরে এক হাতে ডিফেন্সিভ শট খেলতে দেখা যায় এগরকে। শেষে এলিয়টের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। জোয়েল কার্টিসের সঙ্গে শেষ উইকেটের জুটিতে দলের ইনিংসে ১৫ রান যোগ করতে সাহায্য করেন অ্যাস্টন।
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া বনাম ভিক্টোরিয়া ম্যাচের ফলাফল
টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া। তারা প্রথম ইনিংসে ১৬৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়। জোয়েল কার্টিস দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩৬ রান করেন। ভিক্টোরিয়ার টড মার্ফি প্রথম ইনিংসে ৪টি উইকেট নেন। ৩টি উইকেট নেন ফার্গাস ও'নেইল।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ভিক্টোরিয়া তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ৩৭৩ রান। থমাস রজার ৭৬ ও পিটার হ্যান্ডসকম্ব ৫৬ রান করেন। ৩টি করে উইকেট নেন ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার জোয়েল প্যারিস, ক্য়ামেরন গ্যানন ও কোরি।
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২৫ রান তোলে। জোয়েল কার্টিস ১১৯ রান করেন। ৭৮ রান করেন হিল্টন কার্টরাইট। দ্বিতীয় ইনিংসে ভিক্টোরিয়ার স্যাম এলিয়ট ৪টি উইকেট নেন। ৩টি উইকেট নেন ফার্গাস। শেষ ইনিংসে ২ উইকেটে ১২২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায় ভিক্টোরিয়া। মার্কাস হ্যারিস ও পিটার হ্যান্ডসকম্ব উভয়েই ব্যক্তিগত ৫৬ রানে নট-আউট থাকেন।