২৩ বছর বয়সে উইল পুকভস্কির টেস্ট ক্রিকেটে চমকপ্রদ আবির্ভাব দেখেছিল ক্রিকেটবিশ্ব। তবে ঠিক ততটাই হৃদয়বিদারকভাবে পেশাদার ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে হয় অত্যন্ত সম্ভাবনাময় অজি ক্রিকেটারকে। ডাক্তারদের পরামর্শ মতোই বাধ্য হয়ে খেলা ছাড়তে হচ্ছে ২৬ বছরের দুরন্ত প্রতিভাকে, এমনটাই খবর।
২০২১ সালে ভারতের বিরুদ্ধে সিডনি টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মাঠে নামেন উইল পুকভস্কি। ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৬২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন উইল। তবে চোট পেয়ে বসায় তার পরে আর সিরিজে মাঠে নামা হয়নি তাঁর।
ভিক্টোরিয়ার হয়ে ধারাবাহিকভাবে ভালো ক্রিকেট খেললেও ক্রমাগত চোট পেতে থাকেন তিনি। যার ফলে শুধু শারীরিক নয়, বরং মানসিকভাবেও ধাক্কা সামলাতে হয় তাঁকে। তবে বার কয়েক মাথায় আগাতের অভিঘাতই তাঁর কেরিয়ারে দাঁড়ি টেনে দিল বলে খবর।
গত মার্চে মেরেডিথের বল হেলমেটে লাগার পরে কনকাশনের সমস্যায় পড়েন পুকভস্কি। যার ফলে বাকি মরশুমে আর মাঠে নামা হয়নি তাঁর। এমনকি লেস্টারশায়ারের সঙ্গে কাউন্টি চুক্তিও বাতিল করতে হয় অজি তারকাকে।
ভিক্টোরিয়া ক্রিকেট সংস্থা ২০২৪-২৫ মরশুমের জন্য পুকভক্সির সঙ্গে চুক্তি করতে চায়। তবে তাতেও শর্ত জুড়ে দেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ভিক্টোরিয়া ক্রিকেট সংস্থা ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি ছাড়াও স্বতন্ত্র বিশেষজ্ঞকে নিয়ে গঠিত মেডিক্যাল কমিটি পুকভস্কির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ছাড়পত্র দিলে তবেই মাঠে নামতে পারতেন তারকা ক্রিকেটার। শেষমেশ ডাক্তারদের এই কমিটিই পেশাদার ক্রিকেট থেকে সরে আসার পরামর্শ দেয় ২৬ বছর বয়সী তারকাকে।
বৃহস্পতিবার নাইন নিউজের তরফে টম মরিস সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান যে, মেডিক্যাল কমিটির নির্দেশেই ২৬ বছর বয়সে শেষ হয়ে গেল উইল পুকভস্কির কেরিয়ার।
২০১৭ সালে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয় পুকভস্কির। সেবছরই প্রথমবার লিস্ট-এ ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। অর্থাৎ, অজি তারকার কেরিয়ার স্থায়ী হয় মোটে ৭ বছর। ১টি টেস্টে সাকুল্যে ৭২ রান সংগ্রহ করেন পুকভস্কি। ৩৬টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচের ৫৭টি ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪৫.১৯ গড়ে তিনি সংগ্রহ করেন ২৩৫০ রান। সেঞ্চুরি করেন ৭টি ও হাফ-সেঞ্চুরি করেন ৯টি।
এছাড়া ১৪টি লিস্ট-এ ম্যাচের ১২টি ইনিংসে ব্যাট করে পুকভস্কি সংগ্রহ করেন ৩৩৩ রান। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে তিনি ১টি সেঞ্চুরি ও ২টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন।