বল গ্লাভসের কয়েক ইঞ্চি আগে ড্রপ পড়া সত্ত্বেও কট বিহাইন্ডের জোরালো আবেদন। তাতেই সাড়া দিয়ে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। শেষে রিভিউয়ে ধরা পড়ে যায় আম্পায়ারকে বোকা বানিয়ে অজি উইকেটকিপারের উইকেট চুরির চেষ্টা। ধরা পড়তেই লর্ডসের দর্শকদের প্রবল বিদ্রুপ সহ্য করতে হয় জোশ ইংলিসকে।
পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের চতুর্থ ওয়ান ডে ম্যাচে মাঠে নামে অস্ট্রেলিয়া। টস-ভাগ্য সঙ্গ দেয় অজিদেরই। এক্ষেত্রে টস জিতে ইংল্যান্ডকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান অজি দলনায়ক মিচেল মার্শ। বৃষ্টির জন্য ৫০ ওভারের ম্যাচ কমে দাঁড়ায় ৩৯ ওভার প্রতি ইনিংসে। প্রথম ইনিংসের ১৭তম ওভারে ঘটে এমন ঘটনা।
১৬.৪ ওভারে মিচেল স্টার্কের লেগ-স্টাম্পের উপরে রাখা বলে ফ্লিক করার চেষ্টা করেন ইংল্যান্ড দলনায়ক হ্যারি ব্রুক। বল তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে কিপারের কাছে উড়ে যায়। অজি উইকেটকিপার জোশ ইংলিস বাঁ-দিকে শরীর ফেলে নীচু ক্যাচ ধরেছেন বলে দাবি জানান। বোলার স্টার্ক খুব একটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না। তাঁকে দৃশ্যতই সংশয়ে দেখায়। তবে কিপারের জোরালো আবেদনে সাড়া দিয়ে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।
আউট নিয়ে সংশয় ছিল ব্যাটার হ্যারি ব্রুকের মনে। তিনি তড়িঘড়ি রিভিউ নেন। আম্পায়ার রিপ্লে দেখতেই সিদ্ধান্ত নিতে বিশেষ অসুবিধা হয়নি। বল যে কিপারের গ্লাভসে জমা পড়ার আগে মাটি ছুঁয়েছে, সেটা স্পষ্ট বোঝা যায়। এমন ক্ষেত্রে কিপারের বুঝে যাওয়া উচিত বল মাঠে ড্রপ করেছে কিনা। ইংলিসেরও তাই বুঝে যাওয়া উচিত ছিল যে, তাঁর ক্যাচ বৈধ নয়। তা সত্ত্বেও আবেদন করে উইকেট নিতে চান তিনি।
লর্ডসের দর্শদকের বিষয়টি মোটেও পছন্দ হয়নি। রিপ্লে দেখে তৃতীয় আম্পায়ার ব্রুককে নট-আউট ঘোষণা করার পরেই দর্শকরা সমবেতভাবে দুও দিতে থাকেন কিপার জোশ ইংলিসকে। ১৭ রানের মাথায় রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়া ব্রুক তার পরেই ব্যাট হাতে তাণ্ডব শুরু করেন। তিনি ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে মাত্র ৩৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষমেশ ৫৮ বলে ৮৭ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন ব্রুক। তিনি সাকুল্যে ১১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
ইংল্যান্ড নির্ধারিত ৩৯ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩১২ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ২৪.৪ ওভারে ১২৬ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ১৮৬ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে সিরিজে ২-২ সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড।