আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-র গ্রুপ বি-তে রয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। তাদের সঙ্গে একই গ্রুপে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান। তবে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বড় ধাক্কা খেল দলটি। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেছেন। জোশ হেজেলউড স্কোয়াডে থাকছেন না, মার্কাস স্টইনিস ইতিমধ্যেই ওডিআই ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন, আর মিচেল স্টার্ক অজানা কারণে টুর্নামেন্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা স্টিভ স্মিথকে অস্ট্রেলিয়ার নতুন ওডিআই অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার অধিনায়কত্বের রেকর্ড ভালো হওয়ায় এ সিদ্ধান্তে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই প্রশংসা করেছেন, যার মধ্যে রয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নারও। তিনি মনে করেন, চোট-সংক্রান্ত কিছু ধাক্কা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার ভালো সুযোগ রয়েছে।
এক বিশেষ মিডিয়া সাক্ষাৎকারে হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রশ্নের জবাবে ওয়ার্নার বলেন, ‘স্টিভ স্মিথ এখন দলের নেতৃত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে টেস্টে সে অধিনায়ক, তাই একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি, আমাদের সুযোগ এখনও অনেক বেশি। বিশ্বকাপ জেতার লক্ষ্য এখনও রয়েছে আমাদের। প্যাট কামিন্স, জোশ হেজেলউড ও মিচেল মার্শের অনুপস্থিতি বড় ক্ষতি, তবে আমাদের এমন প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে যারা সহজেই তাদের জায়গা পূরণ করতে পারেন।’
সম্প্রতি আইএলটি২০ (ILT20)-তে দুবাই ক্যাপিটালসের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। তিনি এদিন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-তে অস্ট্রেলিয়ার সুযোগ নিয়ে বলেন, ‘এছাড়াও, পাকিস্তানে কী ধরনের পিচ প্রস্তুত করা হবে, সেটিও বড় একটি বিষয় হতে চলেছে। অনেক ভেরিয়েবল এখানে ভূমিকা রাখবে।’
‘আইএলটি২০ আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের বিকাশে সহায়ক’
ওয়ার্নার আইএলটি২০-র তৃতীয় আসরে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেন, যেখানে তিনি আবু ধাবি নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ৯৩ রান করেন এবং ফাইনালে ডেজার্ট ভাইপার্সের বিরুদ্ধে ৪ রান করেন। তার মতে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতা দিন দিন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠছে এবং উত্তেজনাপূর্ণ ক্রিকেট উপহার দিচ্ছে।
ওয়ার্নার বলেন, ‘যদি এমন একটি ২০-২০ লিগ থাকে যেখানে দলে ১১ জন আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় খেলতে পারে, তাহলে সেটি হবে এক অসাধারণ প্রতিযোগিতা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের মতো কিছু করা গেলে দারুণ হত। আইএলটি২০ সম্ভবত সেই লক্ষ্য অর্জনের সবচেয়ে কাছাকাছি। এখানে ৯ জন আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় খেলতে পারে, যা লিগটিকে অনেক শক্তিশালী করে তুলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এর জন্য প্রতিটি জাতির অংশগ্রহণ প্রয়োজন। সেটি কীভাবে সম্ভব, তা আমি জানি না। আমি এটির উত্তর দিতে পারব না। ভারতীয় খেলোয়াড়দের আইপিএল ছাড়া অন্য কোথাও খেলার অনুমতি নেই, যা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে প্রতিযোগিতাটি খুব শক্তিশালী এবং আমি এটি উপভোগ করি। এটি ক্রিকেটের জন্য দারুণ একটি প্ল্যাটফর্ম।’
ডেভিড ওয়ার্নার আরও যোগ করে বলেন, ‘প্রতিটি দেশীয় লিগে মাত্র চারজন বিদেশি খেলোয়াড় খেলতে পারে, যা অবশ্যই নিজেদের খেলোয়াড়দের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই প্রতিযোগিতা আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের জন্য বিকাশের সুযোগ তৈরি করে, যা ক্রিকেটের জন্য ভালো দিক।’