গত বছর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হেরে ট্রফি জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করে ভারত। এর আগেরবারও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফাইনালে হেরেছিল ভারত। বিরাট কোহলি অবশ্য অজিদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে চেনা ছন্দে ছিলেন না ম্যাচে, আর তাতেই কার্যত অ্যাডভান্টেজ পেয়ে যায় প্যাট কামিন্সরা। অবশ্য তাঁর আগে ট্রাভিস হেড এবং স্টিভ স্মিথের দুরন্ত শতরানের সৌজন্যে বড় রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের জয়ের জন্য টার্গেট ছিল বিশাল ৪৪৪ রানের, ফলে ওভালের মাঠে কামিন্স, স্টার্কের মতো বোলারদের বিরুদ্ধে কাজটা বেজায় কঠিন ছিল সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। শেষ পর্যন্ত ২০৯ রানে হেরে যায় ভারত। যদিও এক বছর আগের স্মৃতি এখনও টাটকা অজি ক্রিকেটারদের। বিরাটকে প্রশংসায় ভাসিয়ে স্মিথরা বললেন, যতক্ষণ কোহলি মাঠে ছিলেন, ম্যাচ ছিল ৫০-৫০।
চতুর্থ দিনের শেষে ভারতের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১৬৪, তখন উইকেটে অপরাজিত ছিলেন বিরাট এবং রাহানে। সেই সময় পর্যন্ত ম্যাচ নিজেদের হাতের মুঠোয় করতে পারেনি স্মিথ, কামিন্সরা, কারণ উইকেটে কোহলির উপস্থিতি। তবে কোহলি ৪৯ রানে আউট হতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পরে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ, ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। সেই প্রসঙ্গেই সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নাথান লিয়ন বলছেন, ‘ বিরাট কোহলি দুর্দান্ত লড়াই দেয়। কখনও এক ইঞ্চিও জমি ছেড়ে দেয় না বিপক্ষকে। এই বিষয় ওর ধারে কাছে কেউ নেই’।
আরও পড়ুন-'তুই আমার থেকে ভালো বোলার হবি', কার টোটকায় ব্যাটার থেকে অলরাউন্ডার হয়ে উঠলেন অভিষেক?
প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান তারকা জাস্টিন ল্যাঙ্গার বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কিলার পারফরমেন্স দেয় সবসময় বিরাট ’ । সেই ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়া বোলার স্কট বোলান্ড বলছেন, ‘ আমরা যখন পঞ্চম দিনে খেলতে নেমেছিলাম, তখনও ভাবছিলাম একবার ছন্দ পেয়ে গেলে, বিরাট এই রান তাড়া করে নেবে’।স্টিভ স্মিথও বিরাটের রান তাড়া করার দক্ষতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-‘মাথা উঁচু করেই মাঠ ছাড়ছি’, বলেও রিয়াল মাদ্রিদ নিয়ে জল্পনা বজায় রাখলেন এমবাপে
ভারতের বিপক্ষে দুটি আইসিসি প্রতিযোগিতার ফাইনালেই শতরান করেছেন ট্রাভিস হেড। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন,এরপর ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালেও তিনি ম্যাচের সেরা হন। সেই হেড নিজের পারফরমেন্স নিয়ে বলেছেন, ‘ভারতের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের শুরুর দিকে টেস্ট সিরিজটা তাঁর ভালো পারফরমেন্সের জন্য সুবিধা করেছে। নিজেকে সময় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিজের খেলা সম্পর্কে ধারণা আরও স্পষ্ট হয়েছিল সেই সিরিজে। কীভাবে ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করতে হয়, সেই ছকও কষেছিলেন তিনি। ’ ।