অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে জয় পেয়েছে ভারত। বর্ডার গাভাসকর ট্রফির অধীনে ৫ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে টিম ইন্ডিয়া। ৬ ডিসেম্বর থেকে অ্যাডিলেডে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। তার আগে শনিবার থেকে প্রধানমন্ত্রী একাদশের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল ভারতের যদিও প্রথম দিন বৃষ্টির জন্য ম্যাচ শুরু হয়নি। এর আগেও অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে একাধিকবার এই ম্যাচ খেলেছে টিম ইন্ডিয়া। সেরকমই এক ম্যাচকে কেন্দ্র করে জড়িয়ে রয়েছে একটি ঘটনা। ১৯৯১ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী একাদশের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। সেখানে তখন সচিন তেন্ডুলকরকে আউট করেছিলেন অজি পেসার গ্রেগ রাউলি। কিন্তু এহেন ক্রিকেটার এরপর আর থাকেননি ক্রিকেট মাঠে। পরিবর্তন করেছেন নিজের পেশা, এমনকী দেশের হয়েও খেলেননি একবারও। বর্তমানে তিনি একজন সফল আইনজীবী, পাশাপাশি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার একজন আধিকারিক।
এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্রেগ রাউলি জানিয়েছেন, সেই সময় সচিন তেন্ডুলকর বড় নাম ছিল না, রবি শাস্ত্রী তখন বেশি জনপ্রিয় ছিলেন। সেই সময় এই অজি পেসারের বয়স ছিল মাত্র ২৩। ভারতের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে তিনি ২৭ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন, তার মধ্যে শাস্ত্রী এবং সচিনের উইকেটও ছিল। এখনকার মতো, ভারত তখন প্রধানমন্ত্রী একাদশ গেমের আগে মাত্র একটি টেস্ট খেলেছিল এবং ১৮ বছর বয়সী তেন্ডুলকর তখনও বেশি রান করেননি। তবে এরপর পার্থ এবং সিডনি টেস্টে শতরান করেন তিনি। গ্রেগ বলেন, ‘সিরিজ শেষ হতে হতে আমি বুঝে গিয়েছিলাম তেন্ডুলকর কে ছিলেন।’ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে প্রধানমন্ত্রী একাদশের খেলাগুলি তখন একটি বড় বিষয় ছিল, প্রতিভাবান তরুণরা সিনিয়রদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেতেন এবং নিজেদের প্রমাণ করতে পারতেন।
রাউলি সেই ম্যাচের কথা স্মরণ করতে গিয়ে বলেন, ‘খেলাটি দেশের সব টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছিল, এবং আমাদের প্রথম-শ্রেণির খেলোয়াড়দের জন্য এটি এমন একটা ম্যাচ যেখানে সারা দেশ আমাদের দেখছিল এবং বিচার করছিল।’ সেই খেলায় তরুণ রাউলি ছাড়াও ছিলেন শেন ওয়ার্ন, ড্যামিয়েন মার্টিন, ম্যাথিউ হেইডেন, মাইকেল বেভান, ড্যামিয়েন ফ্লেমিং, গ্রেগ ব্লেওয়েট, জেমি সিডন্স এবং টিম জোহেরার। রাউলি ক্যানবেরায় বড় হয়েছেন কিন্তু সিডনিতে ক্রিকেট খেলেছেন কারণ ক্যানবেরার ক্রিকেট তখন বড় ছিল না। স্বভাবতই অতীতের কথা মনে করে বেশ আবেগতাড়িত ছিলেন তিনি। এবারও বেশ কিছু প্রতিভাসম্পন্ন তরুণ আছে দলে। ভবিষ্যতে কারা কারা অস্ট্রেলিয়ার প্রথম একাদশে আসতে পারেন সেটাই এখন দেখার।