ইংরেজিতে বরাবরই একটা কথা মুখে মুখে শোনা যায়, ইটস নট ওভার, আন্টিল ইটস ওভার। অর্থাৎ যতক্ষণ না শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ শেষ হয়। এই উক্তিটি লড়াইয়ের মানসিকতা বোঝানোর জন্যই সচরাচর ব্যবহার হয়ে থাকে। টি২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতীয় দলের জয়ের পিছনেও রয়েছে এই উক্তির মোটিভেশনই। অধিনায়ক রোহিত শর্মা এই কথাটা সরাসরি না বললেও ক্রিকেটারদের তাতানোর জন্য এই মানসিকতাই অবলম্বন করেছিলেন। একটা সময় দক্ষিণ আফ্রিকা দলের জয়ের সম্ভাবনা ছিল ৯০ শতাংশ। সেখান থেকেই রূপকথা রচনা করে ভারতকে বিশ্বকাপ জেতান জসপ্রীত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়ারা। সেই ম্যাচে রোহিত শর্মার ভূমিকাই ব্যখ্যা করলেন অক্ষর প্যাটেল।
অক্ষর প্যাটেল সেই ম্যাচে নিজের শেষ ওভার বোলিং করতে এসে দিয়েছিলেন ২৪ রান। বহু ভারতবাসী তাঁর সেই ওভারের পরই টিভির সুইচ বন্ধ করে দিয়েছিল ম্যাচ হেরে গেছে ভেবে, কিন্তু সেখান থেকেই দেশকে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন করেন সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, জসপ্রীত বুমরাহরা। নিজে এক ওভারে ২৪ রান দেওয়ার পর ভেঙে পড়েছিলেন অক্ষর। তখনই দাদার মতো তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান রোহিত শর্মা। ঠিক কি বলেছিলেন তখন , সেটাই ফাঁস করলেন ম্যাচে ৪৭ রান করা অক্ষর প্যাটেল।
এক ওভারে ২৪ রান দেওয়ার পর রোহিত শর্মা প্রসঙ্গে বাঁহাতি স্পিনার অলরাউন্ডার বলেন, ‘প্রথম পাঁচ সেকন্ডের জন্য ভেবেছিলাম ম্যাচ শেষে। মাটিতে বসে পড়েছিলাম, কিন্তু কোথাও একটা মনে হচ্ছিল ঘুরে দাঁড়ানো হয়ত সম্ভব। এরপর রোহিত ভাই এসে আমায় বলেছিল, এখনও ম্যাচ শেষ হয়নি। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে এত রান দিলে শরীরি ভাষায় হার স্বীকারের ছাপ পড়ে যায়। কিন্তু বিশ্বকাপ আলাদা মঞ্চ। আমরা কেউ এক ইঞ্চিও ছাড়তে রাজি ছিলাম না। শেষ বল পর্যন্ত লড়ে যেতে চেয়েছিলাম। ’।
অক্ষর প্যাটেল বলছেন, ‘আমি ভুল সময় আউট হয়েছিলাম, নিজের ভুলেই। আমি নিজের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলাম। বল ভালো হিট করছিলাম, বিরাট ভাইও সেট ছিল। আরও কিছু রান আমাদের যোগ করা উচিত ছিল। আমি একা বসেছিলাম পরের তিন ওভার। এরপর বুমরাহ এসে আমার কাধে হাত দিয়ে বলেছিল, আমায় চার ওভার বোলিংও করতে হবে। আমার ইনিংস দলকে মোমেন্টাম দিয়েছে, এবার বাকিরাই ভারতের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাবে’। টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে ওডিআই ক্রিকেটের পার্থক্য বলতে গিয়ে অক্ষর প্যাটেল বলেন, ‘টেস্টে একটা জায়গা দেখেই বোলিং করতে হয় সব সময়। কারণ দীর্ঘক্ষণ বোলিং করার থাকে। বাজে বোলিংয়ের জায়গা থাকে না। আরও বেশি ধারাবাহিক হতে হয়। উইকেট দেখেই বলের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, প্রয়োজনে স্লো বল করতে হয় ’।