সেমিফাইনালের টিকিট হাতে পেতে হলে লিগের শেষ ম্যাচে আমিরশাহিকে হারাতেই হতো। সুতরাং, বুধবার শারজায় ভারত কার্যত চলতি এনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ভার্চুয়াল কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে নামে। শেষমেশ আমিরশাহিকে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে যুব এশিয়া কাপের শেষ চারের টিকিট পকেটে পোরে ভারত।
শারজায় টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে আমিরশাহি। তবে ভারতের আঁটোসাটো বোলিংয়ের সামনে বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি আমিরশাহির ব্যাটাররা। আমিরশাহি ৪৪ ওভারে মাত্র ১৩৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়।
মহম্মদ রায়ান দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩৫ রান সংগ্রহ করেন। ৪৮ বলের ইনিংসে তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। এছাড়া অক্ষত রাই ২৬, ইথান ডি'সুজা ১৭ ও উদ্দিশ সূরি ১৬ রান করেন।
ভারতের হয়ে যুধাজিৎ গুহ ৭ ওভারে ১৫ রান খরচ করে ৩টি উইকেট দখল করেন। চেতন শর্মা ৮ ওভারে ২৭ রান খরচ করে ২টি উইকেট পকেটে পোরেন। হার্দিক রাজ ১০ ওভারে ২৮ রান খরচ করে ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন। ১টি করে উইকেট নেন আয়ুষ মাত্রে ও কেপি কার্তিকেয়া।
ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি আয়ুষ-বৈভবের
পালটা ব্যাট করতে নেমে ভারত শুরু থেকেই ঝড় তোলে। দুই ওপেনার আয়ুষ মাত্রে ও বৈভব সূর্যবংশী উভয়েই বিধ্বংসী অর্ধশতরান করেন। বৈভব ২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। আয়ুষ মাত্রে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৮ বলে ব্যক্তিগত ৫০ রানের গণ্ডি টপকান।
আয়ুষ জাপানের বিরুদ্ধে গত ম্যাচে মাত্র ২৭ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। চলতি এশিয়া কাপে সেটি দ্রুততম অর্ধশতরানের রেকর্ড। সুতরাং, টুর্নামেন্টে পরপর ২টি ম্যাচে ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন আয়ুষ।
ভারত ১৬.১ ওভারে বিনা উইকেটে ১৪৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ২০৩ বল বাকি থাকতে ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ভারতের যুব দল। বৈভব ৪৬ বলে ৭৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৩টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন। আয়ুষ ৫১ বলে ৬৭ রান করে নট-আউট থাকেন। তিনি ৪টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন।
এই জয়ের সুবাদে ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে এ-গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে চলতি যুব এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ওঠে ভারত। গ্রুপ থেকে প্রথম দল হিসেবে আগেই শেষ চারের টিকিট হাতে পেয়েছে পাকিস্তান।