চলতি রঞ্জি ট্রফিতে দুর্ভাগ্য তাড়া করে বেড়াচ্ছে বাবা ইন্দ্রজিৎকে। দুরন্ত ফর্মে থাকা তামিলনাড়ুর তারকা ব্যাটার কর্ণাটকের বিরুদ্ধে গত ম্যাচের প্রথম ইনিংসে নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর শতরান কার্যত পাকা দেখাচ্ছিল। তবে সেঞ্চুরির দোরগোড়া থেকে মাঠ ছাড়তে হয় ইন্দ্রজিৎকে।
এবার পঞ্জাবের বিরুদ্ধে বড় রানের ধারবাহিকতা বজায় রাখেন ইন্দ্রজিৎ। তবে এবার তিনি নিশ্চিত ডাবল সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে আসেন। অর্থাৎ, রঞ্জির পরপর ৩টি ইনিংসের একটিতে হাফ-সেঞ্চুরি, একটিতে সেঞ্চুরি ও একটিতে ডাবল সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় ইন্দ্রজিৎ-এর।
কর্ণাটকের বিরুদ্ধে গত ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৪৮ রান করে মাঠ ছাড়েন ইন্দ্রজিৎ। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি আউট হন ৯৮ রানে। এবার পঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ইন্দ্রজিৎ আউট হন ব্যক্তিগত ১৮৭ রানে। ২৯৫ বলের অনবদ্য ইনিংসে তিনি ১০টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
পঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ইন্দ্রজিৎ ছাড়া শতরান করেন বিজয় শঙ্কর। তিনি ১২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৭১ বলে ১৩০ রান করে মাঠ ছাড়েন। তামিলনাড়ু প্রথম ইনিংসে ১৩১.৪ ওভার ব্যাট করে ৪৩৫ রান তোলে।
দুই শতরানকারী ছাড়া সুরেশ লোকেশ্বর ১০, নারায়ণ জগদীশান ২২, প্রদোষ রঞ্জন পাল ২০, মহম্মদ আলি ২৭, হরিহরণ ২, এম মহম্মদ ৮ ও ক্যাপ্টেন সাই কিশোর ২০ রান করেন। পঞ্জাবের সুখবিন্দর সিং প্রথম ইনিংসে ৯৯ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন। ২টি করে উইকেট নেন অভিষেক শর্মা ও জাসিন্দর সিং। সিদ্ধার্থ কৌল দখল করেন ১টি উইকেট।
পালটা ব্যাট করতে নেমে পঞ্জাব দ্বিতীয় দিনের শেষে তাদের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৪১ রান তুলেছে। ৯৭ বলে ৪৩ রান করেছেন নেহাল ওয়াধেরা। তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন। ৭৬ বলে ৪১ রান করেছেন আনমোলপ্রীত সিং। তিনি ৭টি চার মেরেছেন। ২৩ বলে ২৪ রান করে মাঠ ছাড়েন প্রভসিমরন সিং। তিনি ৫টি চার মেরেছেন। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৫ বলে ৭ রান করে আউট হন অভিষেক শর্মা।
ক্যাপ্টেন মনদীপ সিং ৪৪ বলে ১৮ রান করে দ্বিতীয় দিনে অপরাজিত থাকেন। তিনি ২টি চার মেরেছেন। ২১ বলে ৩ রান করে নট-আউট থাকেন আনমোল মালহোত্রা। তামিলনাড়ুর অজিত রাম ৩৪ রানে ২টি উইকেট নিয়েছেন। ১টি উইকেট নিয়েছেন সন্দীপ ওয়ারিয়র।