খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট টিম। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয়েছে তাদের। এর পর থেকে বিতর্ক এবং সমালোচনায় জেরবার হতে হচ্ছে বাবর আজমদের। এমন কী পাকিস্তান দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটারও অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে হইহই পড়ে গিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেট মহলেও।
গড়াপেটার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলল বোর্ড
পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে স্পট ফিক্সিং ও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন অনলাইন সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিতও হয়েছে। এই বিষয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) প্রথমে নীরবতা পালন করলেও, শেষ পর্যন্ত মুখ খুলেছে। তবে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ নিয়ে বোর্ডের বিবৃতিতে হতবাক সকলে।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচেও কি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে? ভেস্তে গেলে চাপে পড়বেন শাকিবরা
পিসিবি-র তরফে দাবি করা হয়েছে, যারা ম্যাচ গড়াপেটার কথা বলছেন, তাঁরা যেন তথ্য প্রমাণ নিয়েই বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আর যদি ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারেন, তা হলে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে পিসিবি। আর এতেই বেজায় ক্ষেপেছে নেটিজেনরা।
আরও পড়ুন: সহজতম ক্যাচ ফেলে নিজেই বিস্মিত কোহলি, মাথায় হাত রোহিতেরও- ভিডিয়ো
আইনি ব্যবস্থার হুমকি
পিসিবি বলছে, যারা এই ধরনের দাবি করছে তাদের প্রমাণ নিয়ে আসতে হবে। কোনও প্রমাণ ছাড়া ম্যাচ গড়াপেটা অভিযোগ নিয়ে হাজির হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, ক্রিকেট পাকিস্তান সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এটি পিসিবির আনুষ্ঠানিক কোনও বিবৃতি নয়।
পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সেই সূত্র বলেছেন, ‘খারাপ খেললে নেতিবাচক শুনতে হবে। সেটাই স্বাভাবিক। এমন কী সমালোচনাও গ্রহণযোগ্য। এবং এতে কোনও আপত্তি নেই। তবে কোনও ধরণের প্রমাণ ছাড়া ম্যাচ গড়াপেটার ভিত্তিহীন অভিযোগ কোনও অবস্থাতেই বরদাস্ত করা হবে না।’
আরও পড়ুন: ভিডিয়ো- সেরা ফিল্ডারের তালিকায় অক্ষরের নাম শুনে চমকে উঠলেন কোহলি, প্রতিক্রিয়া হল ভাইরাল
ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগের ভিত্তিতে পিসিবি কোনও রকম তদন্ত করবে কিনা, এই সম্পর্কে সেই সূত্র দাবি করেছে, ‘পিসিবি কেন তদন্ত করবে? যারা অভিযোগ করেছে, তাদের প্রমাণ দিতে হবে। আমরা আমাদের আইনি বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি, যারা অভিযোগ করছে, তাদের কাছে আইনি চিঠি যাবে।’
সম্প্রতি পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের সরকার একটি আইন পাশ করেছে। সেখানে কোনও খ্যাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রমাণ ছাড়াই ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হলে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। বড় অঙ্কের জরিমানার সঙ্গে ছয় মাসের জেলও খাটতে হতে পারে। এই আইনকে সঙ্গী করে বাবর আজমদের পাশে দাঁড়াতে চাইছে বোর্ড।