কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়, বাঙালির কাছে এই গান বেশ জনপ্রীয়। অবশ্য গানের লেখন দুনিয়া শব্দের পরিবর্তে পাকিস্তান লিখলেও খুব ভুল করতেন না। এবারের টি২০ বিশ্বকারে জঘন্য পারফরমেন্স করেছে পাকিস্তানের ক্রিকেট দল। গতবারের ফাইনালিস্টরা এবারে প্রতিযোগিতার গ্রুপ স্টেজ থেকেই ছিটকে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হেরে গিয়েই খাদের কিনারায় চলে গেছিল বাবর আজমের দল। এরপর পাকিস্তানকে টপকে সেই গ্রুপ থেকে আয়োজক দেশ জায়গা করে নেয় সুপার এইটে, আর প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেয় শাহিন আফ্রিদি, মহম্মদ রিজওয়ানরা। এরপরই পাক ক্রিকেটারদের নিয়ে তুমুল দোষারোপ করেন প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং বিশেষজ্ঞরা। এবার তাঁদের বিরুদ্ধেই কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম।
আরও পড়ুন-জিতছেন বুঝেই ম্যাচ চলাকালীন স্পাইডারক্যামে সেলফি হার্দিক-পন্তের! ভাইরাল ভিডিয়ো
আহমেদ শেহজাদসহ বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ক্রিকেটার এবারের টি২০ বিশ্বকাপে বাবর আজমের খারাপ পারফরমেন্সের জন্য তাঁর কড়া সমালোচনা করেন। পাকিস্তানের প্রাক্তনী আহমেদ শেহজাদ দাবি করেছিলেন তাঁর পরিসংখ্যানও বাবরের থেকে ভালো ছিল। সাধারণত ক্রিকেটাররা খারাপ খেললে সমালোচনা হয়, আর সেটা খেলোয়াড়রা মেনে নিয়ে মাঠেই জবাব দেন। এক্ষেত্রে অবশ্য দোষারোপের মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন বাবর আজম, তাই প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং ইউটিউবারদের শায়েস্তা করতে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন-শেষ বলে চার! নাটকীয়ভাবে টাই নর্দাম্পটনশায়ার বনাম লেস্টারশায়ার ম্যাচ, রইল ভিডিয়ো
এবারের টি২০ বিশ্বকাপে ১২০ বলে বাবর আজম করেছেন ১২২ রান। টি২০ ক্রিকেটের নিরিখে যতই নিউ ইয়র্কের পিচ বোলিং সহায়ক হোক না কেন, বাবরে পারফরমেন্স মোটেই ভালো নয়। দুর্বল কানাডার বিপক্ষে ৩৩ বলে ৩৩ এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৪ বলে ৩২ রান করেন বাবর আজম। যা নিয়েই সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন ইউটিউবার এবং প্রাক্তন খেলোয়াড়রা। বাবর আজমের ধারণা ইচ্ছাকৃতভাবেই তাঁর বিরুদ্ধে দোষারোপমূলক এবং তীর্যক মন্তব্য করে প্রচার চালানো হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। সেই কারণেই মানহানি হয়েছে বাবরের। পিসিবি ইতিমধ্যেই তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করেছে। এই মর্মেই আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে চলেছেন বাবর আজম এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
আরও পড়ুন-'আমি খুশি নই......'রাখঢাক নয়, সরাসরি রান না পাওয়া কোহলিকে শক্তিশেল বিক্রমের
বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পর ইতিমধ্যেই দেশে ফিরেছেন নাসিম শাহ, উসমান খানসহ কয়েকজন ক্রিকেটার। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই আপাতত ছুটি কাটাচ্ছেন বাবর আজম, হরিস রাউফ, আজম খানরা। প্রসঙ্গত বাবর আজমকে নিয়ে সমালোচনা করা হলেও তিনি যে একা দলের খারাপ পারফরমেন্সের জন্য দায়ি নন সেকথা ভালোই জানেন পাকিস্তানের প্রাক্তন, বর্তমান সব ক্রিকেটারই। যে দলে আজম খানের মতো আনফিট ক্রিকেটার থাকে, যে দলে ইফতিখার আহমেদের মতো ক্রিকেটার একের পর এক ম্যাচে ব্যর্থ হয়েও প্রথম একাদশে থেকে যান, সেখানে একা বাবরকে সব দোষ দেওয়া একান্তই ছেলেমানুষি।